অনলাইন ডেস্ক : ফল সুস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এটা আমরা কমবেশি সকলেই জানি। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে নিয়মিত ফল খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। চিকিৎসকরা বলেণ, ফলে প্রচুর পরিমাণে উপস্থিত ফাইবার, বিভিন্ন খনিজ পদার্থ রয়েছে যা শরীরের জন্য উপযোগী।

আজকের প্রতিবেদনে এমনই একটি ফলের গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা জানব। ফলটি হলো শসা। শসাকে যদি বেশির ভাগ মানুষ সবজি বলে মনে করেন, কিন্তু আসলে এটি একটি ফল। শসা পুষ্টিগুণে সম্বৃদ্ধ এবং এতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। শসাতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম যার ফলে শসা ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

পুষ্টিগুণ- শসায় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম,
ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি বিভিন্ন পদার্থ উপস্থিত থাকে। সম্পূর্ণভাবে শসার পুষ্টিগুণ পাওয়ার জন্য খোসা শুদ্ধ খাওয়া উচিত।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট- বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, শসাতে ফ্লাবনয়েড ও ট্যানিন জাতীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরের বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ নিষ্ক্রমণে সাহায্য করে।

পানির যোগান- পানি আমাদের দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শসাতে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকে যা দেহে পানির যোগানের পাশাপাশি দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে শরীরকে ঠান্ডা রাখে। যার ফলে শরীরের মেটাবোলিজম বৃদ্ধি পায়।

ওজন কমায়- শসাতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম থাকে। যার ফলে অন্য খাবারের পরিবর্তে শসা খেলে ক্ষুধা মেটে ও দেহে ক্যালরিও কম যায়, যার ফলে ওজন কমে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে- ডায়াবেটিসের রোগীদের পক্ষে শসা একটি উপকারী খাদ্য। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, খোসা শুদ্ধ শসা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে। ফলে যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।

পেট পরিষ্কার হয়- শসাতে যেহেতু প্রচুর পরিমাণ জল থাকে তাই শসা পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রধান কারণ পানির অভাব। তাছাড়াও শসাতে থাকে প্রচুর পরিমান ফাইবার। ফাইবার আমাদের অন্ত্রের সমস্যা সমাধানে উপকারী। তাই শসা খেলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।