Home জাতীয় ‘শেখ হাসিনার পালানোর আর কোনো পথ নেই’

‘শেখ হাসিনার পালানোর আর কোনো পথ নেই’

অনলাইন ডেস্ক : জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনাকে অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, ‘এখন শেখ হাসিনার পালানোর আর কোনো পথ নেই।’

গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বিবিসির অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে আজ বুধবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

স্ট্যাটাসে শফিকুল আলম লিখেছেন, জুলাইয়ের গণআন্দোলন নিয়ে বিবিসির গভীর অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের ওপর গণহত্যা চালানোর নির্দেশ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যেখানে শতাধিক শিশুর মৃত্যুর কথাও উঠে এসেছে। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার আন্তর্জাতিক চাপ আরও বাড়বে।

প্রেস সচিব আরও লেখেন, শেখ হাসিনাকে অবশ্যই গণহত্যার দায়ে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। তার আর পালানোর কোনো পথ নেই। দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে যে দমননীতি ও সহিংসতা চালানো হয়েছে, তার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। শেখ হাসিনার ও তার নির্দেশে যারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তারাও শাস্তি এড়াতে পারবে না।

বিবিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই আন্দোলনকারীদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিবিসির অনুসন্ধানী ইউনিট বিবিসি আই ইনভেস্টিগেশন বলেছে, ফাঁস হওয়া একটি ফোনালাপের অডিও যাচাই করেছে তারা। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘যেখানেই ওদের (বিক্ষোভকারী) পাওয়া যাবে, গুলি করা হবে।’

বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করে নিশ্চিত করেছে যে, ফাঁস হওয়া রেকর্ডিংয়ে শোনা যাওয়া কণ্ঠস্বর শেখ হাসিনার কণ্ঠের সঙ্গে মিলে যায়।

২০২৩ সালের ১৮ জুলাই শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ওই ফোনালাপটি করেছিলেন। চলতি বছরের মার্চ মাসে অডিওটি ফাঁস হয় বলে বিবিসিকে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

Exit mobile version