অনলাইন ডেস্ক : ঘড়ির কাটা এগারোটা ছুঁতে না ছুঁতেই পিচ টাওয়ারের ঘন্টাটা বেজে ওঠে। ঠিক যেনো সঙ্গে সঙ্গেই আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে কামানের বিকট শব্দ। বিউগলের করুণ সুর যেনো সমবেত মানুষগুলো আবিষ্ট করে ফেলে। এভাবেই যুদ্ধের ধ্বনি, আর জীবনের সুর মিলেমিশে অবর্ণণীয় এক পরবেশের তৈরি হয় ওয়ার মিউজিয়ামের সামনে। সমবেত মানুষগুলো নিরবে দাঁড়িয়ে থাকে দুই মিনিট। গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করে দেশের সূর্য সন্তানদের, যারা দেশটাকে ভালোবেসে, দেশের টানে প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছিলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়। সোমবার কানাডার সর্বস্তরের নাগরিকরা যথাযোগ্য মর্যাদায় রিমেমব্র্যান্স ডে পালন করেছে। সকাল ১১টায় দুই মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচী শুরু হয়। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বের হয় বর্ণাঢ্য প্যারেড। বীর যোদ্ধাদের স্মৃতি ফলকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় নাগরিকরা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে দেশ রক্ষায় প্রাণ দেয়া সৈনিকদের স্মরণে প্রতি বছর ১১ নভেম্বর আড়ম্বরপূর্ণভাবে এই রিমেমব্র্যান্স ডে উদযাপিত হয়। কমনওয়েলথভূক্ত দেশগুলো এ দিনটিকে বিশেষ মর্যাদায় উদযাপন করে। অটোয়ায় ন্যাশনাল ওয়ার মিউজিয়ামে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বীর যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। কুইন্সপার্কে প্রিমিয়ার ডাগ ফোর্ড এবং টরন্টোর পুরাতন সিটি হল চত্বরে টরন্টো সিটি মেয়র জন টরি এবং অন্যান্যরা শ্রদ্ধা জানান।


বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয়ান তরুণদের সংগঠন ইয়থফোর্স ইউনাইটেড স্কারবোরোতে বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। সংগঠনের প্রধান রিজওয়ান রহমান এতে নেতৃত্ব দেন। নতুনদেশ ডটকম