অনলাইন ডেস্ক : গ্রিস প্রথম খ্রিস্টান অর্থোডক্স সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হয়ে সমকামী বিয়েকে বৈধতা দিয়েছে। গ্রিসের পার্লামেন্ট সমকামী বিবাহের অনুমতি দেওয়ার বিল অনুমোদন করেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে এই নতুন আইনটি অনুমোদন পায়। এর অধীনে সমকামী দম্পতিরা বিয়ে ও সন্তান দত্তক নেওয়ার অনুমতি পাবে।

গ্রিস প্রথম অর্থোডক্স খ্রিস্টান দেশগুলোর মধ্যে প্রথম, যারা সমকামী বিয়েকে বৈধতা দিল। দেশটির ৩০০ আসনের সংসদে ১৭৬ জন আইনপ্রণেতা বিলটির পক্ষে ভোট দিয়ে অনুমোদন করে। এখন এটি সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হলে আইনে পরিণত হবে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোটাকিস বলেছেন, ‘নতুন আইন অসমতা দূর করবে।

এদিকে নতুন আইন দেশকে দুই ভাগে বিভক্ত করে ফেলেছে। অর্থোডক্স চার্চের নেতৃত্বে এই নতুন আইনের তীব্র বিরোধিতা করে এথেন্সে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। রাজধানীর সিনটাগমা স্কোয়ারে এই আইনের বিরুদ্ধে ব্যানার প্রদর্শন করেন অনেকে এবং কেউ কেউ বাইবেলের অনুচ্ছেদ গেয়ে শোনান। অর্থোডক্স চার্চের প্রধান আর্চবিশপ আইরনিমোস বলেছেন, ‘এই ব্যবস্থা মাতৃভূমির সামাজিক সংহতিকে কলুষিত করবে।

ভোটের আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছিলেন, ‘অদৃশ্য মানুষরা অবশেষে আমাদের চারপাশে দৃশ্যমান হবে এবং তাদের সঙ্গে অনেক শিশুও তাদের সঠিক জায়গা খুঁজে পাবে।’ এদিকে গ্রিসের এলজিবিটিকিউ সংস্থাগুলো এই আইনকে স্বাগত জানিয়েছে। সমলিঙ্গের অভিভাবকদের গ্রুপ ‘রেইনবো ফ্যামিলিজ’-এর প্রধান স্টেলা বেলিয়া বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এটি আনন্দের দিন।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ সদস্যের মধ্যে ১৫ সদস্য ইতিমধ্যেই সমকামী বিয়েকে বৈধতা দিয়েছে।

এই নিয়ম বিশ্বব্যাপী ৩৫টি দেশে অনুমোদিত। মূলত চার্চের বিরোধিতার কারণে গ্রিস এখন পর্যন্ত কিছু ইউরোপীয় প্রতিবেশীর চেয়ে পিছিয়ে আছে।

সূত্র : বিবিসি