অনলাইন ডেস্ক : বৈশাখের শুরু থেকে সারাদেশে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপদাহে এখন জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। কষ্টে আছেন দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষ। এদিকে, রাজবাড়িতে হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন একজন। এর আগেও হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েক জনের। বিভিন্ন জায়গায় তীব্র দাবদাহ ও গরমে সতর্কতামূলক প্রচার- প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এদিকে, তীব্র গরমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ নানা রোগের প্রকোপ বেড়েছে।
গত কয়েকদিনের তুলনায় চুয়াডাঙ্গায় আবারও বেড়েছে তাপমাত্রা। রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও সকাল থেকে উত্তপ্ত হতে শুরু করে চুয়াডাঙ্গার জনপদ। বিকালে জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলমান দাবদাহে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ ও ক্ষেতে নানা ফসল।

পাবনায় সপ্তাহ ধরে তীব্র তাপদাহে জনজীবনের হাঁসফাঁস অবস্থা। অনেকেই ভয়ে ঘর থেকে বের হন না। খেটে খাওয়া মানুষ যারা কাজে শহরে যাচ্ছেন তাদের কাহিল অবস্থা। জেলায় ডাব বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা দরে। পৌরসভার গাড়ি থেকে রাস্তায় ছিটানো হচ্ছে পানি। বৃষ্টির জন্য সকালে শহরের দারুল আমান ট্রাষ্টে সাধারণ মুসল্লিরা ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন।

তীব্র গরমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ নানা রোগের প্রকোপ বেড়েছে। গরমে রোগীর চাপ বেড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে। ২৫০ শয্যা হাসপাতালটিতে এখন ৪ শতাধিক রোগী ভর্তি আছে। মেঝেতেও অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় তীব্র তাপদাহে দৈনন্দিন কার্যক্রমের পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে কৃষি উৎপাদনও। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে কৃষকরা।

গত কয়েক দিনে জেলায় ৩৮ থেকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত। আবহাওয়া অফিস বলছে, বিগত ১৩ বছরের মধ্যে এবছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে, পশ্চিমের লু হাওয়ায় গত ১০ দিন ধরে জয়পুরহাটের মানুষ হাঁসফাঁস করছে। তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। পেটের তাগিদে খেটে খাওয়া মানুষগুলোর বেহাল অবস্থা। জয়পুরহাটে ৪টি নদী -ছোট যমুনা, তুলশীগংগা, হারাবতি ও চিরি নদীতে পানি নেই।

নিউমোনিয়া আর ডায়রিয়ায় জয়পুরহাট হাসপাতালে তিল ধারনের ঠাঁই নাই। প্রচণ্ড গরমে শিশুদের অবস্থা কাহিল।

তীব্র দাবদাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে ঝালকাঠিতে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। শহরের পশ্চিম ঝালকাঠি গাবখান ফেরিঘাট জামে মসজিদ মাঠে এ নামাজ হয়। বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করে ফেনী ফালাহিয়া মাদ্রাসা মাঠে ফেনীতেও ইসতিসকার নামাজ পড়ছেন মুসল্লিরা।