অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, তার সরকার পার্লামেন্ট সদস্যদের তাইওয়ানে প্রস্তাবিত সফরের সম্ভাব্য সব ধরণের পরিণতি বিবেচনা করার বিষয়টি নিশ্চিত করবে। কানাডা-তাইওয়ান ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের সভাপতি জুডি স্গ্রো এই সপ্তাহের শুরুতে সিবিসি নিউজকে বলেন, কানাডার এমপি ও সিনেটরদের একটি দল অক্টোবরের প্রথম দিকে দ্বীপ রাষ্ট্র তাইওয়ানে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছে।
তবে আশঙ্কা রয়েছে যে এ সফর চীনের সাথে উত্তেজনা বাড়াতে পারে। কেননা বেইজিং এই মাসের শুরুর দিকে মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছিল। তাইওয়ান দ্বীপকে চীন তার ভূখণ্ড বলে মনে করে। পেলোসির সফরের প্রতিশোধ হিসেবে বেইজিং তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং তাইওয়ানের চারপাশে বৃহত্তম সামরিক মহড়া চালায়।
ট্রæডো শুক্রবার লেস ইলেস-ডি-লা-ম্যাডেলিনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এমপিরা তাদের কমিটিগুলো কী গবেষণা করে এবং তারা যে ভ্রমণ করে সে বিষয়ে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেয়। তিনি আরো বলেন, অঞ্চলটিতে এখন বড় ধরণের উত্তেজনা বিরাজ করেছে।
চীন ও তাইওয়ানকে ঘিরে কানাডার একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান রয়েছে যার মর্যাদা আমরা নিশ্চিত করব, বলেন ট্রুডো। অঞ্চলটিকে ঘিরে চীনের তৎপরতা এবং তাদের অবস্থান; অবশ্যই এটি কিছু সময়ের জন্য সমস্যাজনক, তিনি যোগ করেছেন।
সংসদ সদস্যরা তাইওয়ানে ভ্রমনের সব ধরণের পরিনতি ও এর প্রভাবের বিষয়টি বিবেচনায় এনেই সেখানে যাওয়া বা না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন, এটি আমরা নিশ্চিত করব, বলেন ট্রুডো।
সাংসদদের কমিটি তাইওয়ান ও সিঙ্গাপুর উভয় দেশেই সফরের প্রত্যাশা করছেন, যদিও হাউজ অব কমন্স এখনও ভ্রমনের জন্য কমিটির বাজেট অনুমোদন করেনি।
নিউ ডেমোক্র্যাট এমপি ও কমিটির সদস্য ব্রায়ান ম্যাসে এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন, ‘কানাডিয়ানদের অবশ্যই অন্যের গণতন্ত্রকে সমর্থন করতে হবে যারা তাদের অধিকার এবং স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে।
তবে টোরি এমপি বলেছেন, তিনি এখন ভ্রমণ করার আগে গেøাবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার সাথে পরামর্শ করতে চান। আমার পক্ষ থেকে চীনের বিরোধিতা করার কোন উদ্দেশ্য নেই, গত বুধবার তিনি বলছিলেন।
পেলোসির সফরের সময় কানাডার পররাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রী মেলানি জোলি চীনকে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই সপ্তাহের শুরুতে জোলির মুখপাত্র এমিলি উইলিয়ামস বলেছেন, কানাডা তাইওয়ানের সাথে শক্তিশালী ও ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক অব্যাহত রেখেছে। কানাডা সেই নিয়মগুলো বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল জুড়ে কয়েক দশক ধরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করেছে। সূত্র : সিবিসি