অনলাইন ডেস্ক : গুগল ৫ কোটি ৫০ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার (তিন কোটি ৫৮ লাখ মার্কিন ডলার) জরিমানা দিতে সম্মত হয়েছে। দেশটির অস্ট্রেলিয়ার প্রতিযোগিতা ও ভোক্তা কমিশন (এসিসিসি) জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় দুটি টেলিযোগাযোগ কম্পানিকে অর্থ দিয়ে অ্যানড্রয়েড ফোনে প্রতিদ্বন্দ্বী সার্চ ইঞ্জিন বাদ দিয়ে কেবল গুগল সার্চ প্রি-ইনস্টল করানোর মাধ্যমে প্রতিযোগিতার ক্ষতি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এই জরিমানা অস্ট্রেলিয়ায় গুগলের জন্য টানা ঝঞ্ঝাটপূর্ণ সময়কে আরো দীর্ঘায়িত করল। গত সপ্তাহেই ফোর্টনাইট নির্মাতা এপিক গেমসের করা মামলায় গুগল ও অ্যাপলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপ স্টোর বন্ধে ভূমিকার অভিযোগ আনা হয়, যেখানে আদালত গুগলের বিপক্ষে রায় দেন।
এ ছাড়া গত মাসে ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ইউটিউবকেও যুক্ত করা হয়, যা আগে ব্যতিক্রম হিসেবে রাখা হয়েছিল।
এসিসিসি সোমবার জানিয়েছে, টেলস্ট্রা ও অপটাসের সঙ্গে গুগল একটি চুক্তি করেছিল। ওই চুক্তির আওতায় ২০১৯ সালের শেষ থেকে ২০২১ সালের শুরুর মধ্যে অ্যানড্রয়েড ডিভাইসে গুগল সার্চ থেকে উৎপন্ন বিজ্ঞাপনের আয় তাদের সঙ্গে ভাগ করে নিত গুগল।
গুগল স্বীকার করেছে, এই ব্যবস্থা প্রতিদ্বন্দ্বী সার্চ ইঞ্জিনগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা এ ধরনের চুক্তি আর করবে না। একই সঙ্গে জরিমানায়ও সম্মত হয়েছে তারা।
এসিসিসির চেয়ার জিনা ক্যাস-গটলিয়েব বলেছেন, আজকের এই ফলাফল ভবিষ্যতে কোটি কোটি অস্ট্রেলীয়কে আরো বেশি সার্চ ইঞ্জিনের বিকল্প দেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী সার্চ ইঞ্জিন সরবরাহকারীরা অস্ট্রেলীয় ভোক্তাদের কাছে অর্থবহভাবে পৌঁছনোর সুযোগ পাবে।
যৌথ প্রস্তাব
গুগল ও এসিসিসি যৌথভাবে ফেডারেল কোর্টে প্রস্তাব দিয়েছে, গুগলকে পাঁচ কোটি ৫০ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার জরিমানা দিতে হবে।
তবে এই শাস্তি উপযুক্ত কি না, সেটি এখন আদালতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এসিসিসি জানিয়েছে, গুগল ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার সহযোগিতা দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া এড়াতে সাহায্য করেছে। এ ছাড়া গুগলের এক মুখপাত্র বলেছেন, তারা এসিসিসির উদ্বেগ সমাধান করতে পেরে সন্তুষ্ট, যা এমন সব বিধানের সঙ্গে সম্পর্কিত যা অনেক দিন ধরেই তাদের বাণিজ্যিক চুক্তিতে ছিল না।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে অ্যানড্রয়েড ডিভাইস নির্মাতাদের আরো বেশি নমনীয়তা দেওয়া হবে ব্রাউজার ও সার্চ অ্যাপ প্রি-লোড করতে, একই সঙ্গে এমন সুবিধা ও বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ করা হবে, যা তাদেরকে নতুনত্ব আনার সুযোগ দেবে, অ্যাপলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে সাহায্য করবে এবং খরচ কম রাখবে।’
উল্লেখ্য, অ্যানড্রয়েডের মালিক গুগল।