অনলাইন ডেস্ক : কোন ধরণের সামষ্টিক চুক্তি ছাড়াই গোটা অন্টারিওর শিক্ষকরা টানা দ্বিতীয় বছরের মতো স্কুলে ফিরছেন। দর-কষাকষির এই ধীর গতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছে শিক্ষকদের প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিয়নগুলো।
গত বছর ফোর্ড সরকারের চুক্তি চাপিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পর হাজার হাজার শিক্ষাকর্মী চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। এর ফলে স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষাকর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিয়ন শেষ পর্যন্ত সরকারের সঙ্গে একটি মতৈক্যে উপনীত হয়। তবে প্রদেশের শিক্ষা খাতের প্রতিনিধিত্বকারী অন্য ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে নতুন কোনো চুক্তি হয়নি।

শ্রমিক দিবসের পর শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা যে শ্রেণিকক্ষে ফিরবে এটা মোটামুটি নিশ্চিত। এর ফলে শিক্ষাবর্ষের বাকি সময় যে খুব একটি ভালো যাবে না সেটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

গত গ্রীষ্ম থেকে অন্টারিওর শিক্ষকদের প্রধান তিনটি ইউনিয়ন কোনো চুক্তি ছাড়াই চলছে। এর তিনটি ইউনিয়নের নেতারা চলমান আলোচনার অগ্রগতির তথ্য দিয়েছেন। তাদের সবাই এই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, এক বছরের বেশি সময় ধরে আলোচনার পরও আলোচনার টেবিলে প্রকৃত কোনো অগ্রগতি হয়নি।

অন্টারিওর শিক্ষামন্ত্রী স্টিফেন লেচির একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন, গত কয়েক মাস ধরে ফোর্ড সরকার সরল বিশ্বাস নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা একটি চুক্তিকে পৌঁছাতে চায়, যাতে করে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে থাকতে পারে, বাবা-মায়েরা স্বস্তি পান এবং শিক্ষাকর্মীরা ন্যায্য আচরণ পান।

কিন্তু ইউনিয়ন নেতারা বলছেন, শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগে চুক্তিতে উপনীত হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ৮৩ হাজার এলিমেন্টারি শিক্ষক, খন্ডকালীন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিয়ন এটিএফওর প্রেসিডেন্ট কারেন ব্রাউন বলেন, এ মাসের শেষে সরকারের সঙ্গে দর-কষাকষির দুটি তারিখ রয়েছে। প্রক্রিয়াটি যেভাবে এগোচ্ছে তাতে করে আমরা সত্যিই খুব হতাশ।

এর আগে ইটিএফও প্রদেশের শ্রম ট্রাইব্যুনালে একটি অভিযোগ দায়ের করে। তাতে প্রদেশের বিরুদ্ধে সরল বিশ্বাসে দর-কষাকষিতে অংশ নিতে ব্যর্থতার অভিযোগ আনা হয়। সূত্র : সিপি২৪