অনলাইন ডেস্ক : সাচকাচুয়ানের রাজধানী রেজিনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক জরিপে দেখা গেছে সেখানে করোনায় মৃতদের বেশিরভাগই প্রাইভেট লংটার্ম হোম সেন্টারের বাসিন্দা। জরিপ ফলাফলে বলা হয়েছে, গত ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত সাসকাচুয়ানে লংটার্ম হোম সেন্টারে মোট ১৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, যা ওই প্রদেশে করোনায় মোট মৃত্যুর প্রায় ২০%। এই ১৫৪ জনের মধ্যে ৬২ জন মারা গেছেন অলাভজনক বেসরকারি লংটার্ম হোম সেন্টারে। এছাড়া ৪৫ জন লাভজনক ও ৪৭ জন সরকারি লংটার্ম হোম সেন্টারে মারা গেছেন। সাসকাচুয়ানে যে ৫ টি প্রাইভেট লংটার্ম হোম সেন্টার আছে তার সবগুলিই পরিচালিত হয় এক্সটেনডিকেয়ার নামে একটি সংস্থার অধীনে। প্রাইভেট হোম কেয়ারে করোনা মৃত্যুর হার বেশি কেন-জানতে চাইলে এক্সটেনডিকেয়ারের একজন মুখপাত্র বলেন, এসব সেন্টারের অধিবাসীদের বেশিরভাগেরই বয়স ৯০ বছরের বেশি। এই বয়সে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তার সুস্থ হওয়ার আশা খুবই কম। তারপরও তাদের কর্মীদের অক্লান্ত সেবা-শশ্রুসায় অনেকে সুস্থ হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, গত শীতে রেজিনায় তাদের একটি সেন্টারে করোনায় আক্রান্ত হন ৯৮ বছর বয়স্কা নারী মেরী। তিনি অন্য আরো তিন নারীর সাথে একটি কক্ষে থাকতেন। সবাই তার জীবনের আশা ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু সার্বক্ষণিক অক্সিজেন সাপোর্ট নিয়ে তিনি এখনো বেঁচে আছেন। ওই মুখপাত্র আরো বলেন, আমরা আমাদের সব বাসিন্দাদের সমান যতœ নিয়ে থাকি। আমাদের উদ্দেশ্যই হলো সবাইকে সুস্থ রাখা, ভালো রাখা।
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা লংটার্ম হোম সেন্টারগুলোতে করোনায় মৃতদের বিষয়ে তদন্ত করবে। সূত্র : দ্য স্টার
