Home কানাডা খবর সাসকাচুয়ানে স্কুলে মাস্ক বাধ্যতামূলক না করার আবেদন কনজারবেটিভ প্রার্থীর

সাসকাচুয়ানে স্কুলে মাস্ক বাধ্যতামূলক না করার আবেদন কনজারবেটিভ প্রার্থীর

অনলাইন ডেস্ক : কানাডার সাসকাচুয়ান প্রদেশে স্কুলে মাস্ক বাধ্যতামূলক না করার আবেদন জানিয়েছেন কনজারবেটিভ পার্টির প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ক্যাথি ওয়াগানটাল। আসন্ন মধ্যবর্তী নির্বাচনে তিনি সাসকাচুয়ানের ইয়র্কটুন-মেলভিল এলাকা থেকে প্রতিদন্দীতা করবেন। তার নির্বাচনী প্রচারনা দলের প্রধান সমন্বয়কারী ও ব্যবস্থাপক ভেনেসা আন্দ্রেস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ওই আবেদন জানান। এতে তিনি বলেন, স্থানীয় গুড স্পিরিট স্কুল ডিভিশন ও ক্রাইস্ট দ্য টিচার ক্যাথলিক স্কুলে শিক্ষার্থীদের মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কেজি থেকে ৬ষ্ঠ গ্রেড পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষে এবং যানবাহনে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আমরা এই নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদন করছি। আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক মাস্কের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয়ার আবেদন জানাচ্ছি।

যে ফেসবুক গ্রুপ থেকে ওই আবেদন জানানো হয়েছে তাতে ১ হাজার ৬০০ জনের বেশি সদস্য আছে। ওই অনলাইন আবেদনে ২৪ হাজারেরও বেশি অভিভাবকের স্বাক্ষর যুক্ত করা হয়েছে।

ক্যাথি ওয়াগানটালের পক্ষে আবেদনে ভেনেসা বলেন, আমি সব সচেতন মা-বাবা, অভিভাবক, বাস চালক ও স্কুল স্টাফদের প্রতি অনুরোধ করছি আপনারা এই নির্দেশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান, কেননা এই নির্দেশ আমাদের শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করবে। তিনি বলেন, প্রত্যেকেরই নিজস্ব মতামত অনুসরনের অধিকার আছে। কোন কিছুই জোরকরে চাপিয়ে দেয়া ঠিক না।

এদিকে সাসকাচুয়ানের প্রিমিয়ার স্কট মু, স্বাস্থ্যমন্ত্রী পল মেরিম্যান ও শিক্ষামন্ত্রী ডাস্টিন ডানকান স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্কুল কতৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

সাসকাচুয়ান সরকারের হিসাব মতে সেখানে এখন পর্যন্ত ৫৪ শতাংশ মানুষ পূর্ণ দুই ডোজ করোনার টিকা নিয়েছেন। এম পি ক্যাথি বলেন , আমরা সবাইকে টিকা নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। জাতীয় ও প্রাদেশিক স্বাস্থ্য নীতির প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা ও সমর্থন রয়েছে। সবারই এই নীতি মেনে চলা উচিত। কিন্তু বাড়তি কিছু চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া হবে না।

প্রসঙ্গত, ক্যাথি ওয়াগানটাল ২০১৫ সালে প্রথম হাউস অব কমন্সে নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের নির্বাচনে তিনি ৭৬% ভোট পেয়ে তার আসন ধরে রাখেন। আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনেও জয়ের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী বলে জানান। সূত্র : সিবিসি

Exit mobile version