মনজুর কাদের

স্বদেশের শ্বাস নেয় প্রতি পদে পদে
সে দেহ থাকে দূরদেশে প্রাণ থাকে স্বদেশে
মনে প্রাণে লেগে আছে সাত রঙ
তবু যে স্বাধিনতা আঁকা শুধু লালে আর সবুজে
মহান বিজয়ের মাসে নিউইয়র্ক সিটি বাংলাদেশি সিভিল সার্ভিস সোসাইটির বার্ষিক পারিবারিক পুণর্মিলনী ও নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের অভিষেক হলো আগ্রা পার্টি হলে ডিসেম্বর ২১ তারিখে। নিউইয়র্ক সিটিতে যেসব বাংলাদেশি সরকারি চাকুরি বা সিভিল সার্ভিস করেন, এটি তাঁদের সংগঠন।

বাংলাদেশিদের শিক্ষা সনদ মুল্যায়ন, সরকারি প্রশিক্ষণ ও চাকরির খোঁজ দেয়া, সরকারি খাদ্য সহায়তা, নগদ অর্থ সহায়তা, বাড়ি ভাড়া সহায়তা, স্বল্পমুল্যে বাড়ি ভাড়া ও কেনা, চিকিৎসা সেবা – ইত্যাদি খোঁজ খবর দিয়ে সাহয়াতা করা এই সংগঠনের কাজ। চরম ব্যস্ততার মাঝেও একাজটি করা হয় শুধুমাত্র বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীকে নিজ পায়ে সম্মানজনকভাবে দাঁড়াতে সহায়তা করার জন্য।
মহান স্বাধিনতা যুদ্ধে যারা জীবন দিয়ে আমাদেরকে দেশ এনে দিয়েছেন, পতাকা এনে দিয়েছেন, সবুজ পাসপোর্ট যোগান দিয়েছেন তাঁদের পবিত্র স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ও জাতীয় সংগীত গেয়ে এই মহামিলনে সুবাস ছড়িয়েছেন সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তা, পরিবার, স্বজন ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
আওকাত হোসেন খানের স্বাগত ভাষনের পর সংগঠনের আদর্শ উদ্দেশ্য, কর্মকান্ড ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন আজহার আলী খান, তৈয়বুর রহমান হারুন, ডাঃ নাফিসুর রহমান ও আশরাফুজ্জামান। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ফজলুল মোমেন ভূঁইয়া তাঁর বক্তব্যের পর নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের শপথ করান।
এ উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরনিকাও আনুষ্ঠানিকভাবে অবমুক্ত করা হয়।
সাংস্কৃতিক আয়োজনে সংগীত ও আবৃত্তি করেন মোঃ শানু, ঝুলন সেন, মিতা হোসেন ও আফজাল হোসেন। নৃত্য পরিবেশন করে দেবারতি চৌধুরী এবং শিল্পাংগনের প্রযোজনায় ও ডঃ নজরুল ইসলামের পরিচলনায় নাটিকায় অভিনয় করেন শাহপার ইসলাম, শফিউল আলম, শিরিন বকুল ও পরিচালক নিজে।
নবনির্বাচিত কর্মকর্তাবৃন্দ হলেন, সভাপতি- হানিফ মজুমদার, সিনিয়ার সহ সভাপতি- রিনা সাহা, সহ সভাপতি- এইচ আলম টিটো, সাধারণ সম্পাদক- আশরাফুজ্জামান পিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক- আরিফ আহমেদ অর্ণব, সাংস্কৃতিক সম্পাদক- মোঃ শানু, সাহিত্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক- মনজুর কাদের, অর্থ সম্পাদক- রফিকুল ইসলাম, শিক্ষা সম্পাদক- শফিকুল ইসলাম, প্রযুক্তি সম্পাদক- সাইফ খান, যুগ্ম সম্পাদক- মাহবুব কবীর, সহ অর্থ সম্পাদক- মিজানুর রহমান, কার্যকরি সদস্য- নাফিসুর রহমান, ডাঃ রেজাউল কবীর, ঝুলন সেন, সোহেল আহমেদ ও মামুন রাশেদ। নৈশ ভোজ দিয়ে এই কর্মযজ্ঞ শেষ হয়।