অনলাইন ডেস্ক : সেপ্টেম্বরের শেষেই বিদেশিদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক কোভিড ভ্যাকসিনেশের নীতি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে কানাডা। এতোদিন পর্যন্ত বিদেশিদের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিধি-নিষেধ ছিল সেখান। বিমানবন্দরেই ভিনদেশিদের কোভিড পরীক্ষা করা হত।
তাছাড়া কানাডায় পৌঁছনোর পর বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের জন্য নিভৃতবাস বা কোয়ারেন্টিনে থাকতে হত সবাইকে। সূত্রের খবর, সেই নির্দেশিকাও এবার প্রত্যাহার করে নিতে চলেছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার।
কোভিড ভ্যাকসিনেশনের ছাড়পত্র ছাড়াই দেশে প্রবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে নির্দেশিকা এতদিন জারি করেনি কানাডা সরকার। তবে এ নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন এখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। ছিলেন বিদেশ মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিরাও। সরকারি সূত্র সিবিসি নিউজকে জানিয়েছে, এতদিন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি কারণ এটি প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রæডোর অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কানাডার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, “করোনা ভাইরাসের চরিত্র এখন অনেকটাই বদলে গিয়েছে। তাছাড়া গত দু’বছর ধরে বিশ্বজুড়ে ভাইরাসের প্রকোপ থাকায় হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে এখন আর কোভিড ভ্যাকসিনেশনের ছাড়পত্রের প্রয়োজন নেই।” বাধ্যতামূলকভাবে বিদেশিদের কোভিড পরীক্ষারও প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
সীমান্ত ব্যবস্থা সংক্রান্ত বর্তমান কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি অর্ডার-ইন-কাউন্সিলের মেয়াদ আগামি ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হতে চলেছে। সরকার গতকাল সোমবার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। তবে সরকার এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি যে তারা বিমান এবং ট্রেনের যাত্রীদের জন্য মাস্ক পড়ার বাধ্যবাধকতা এখনই তুলে দিবে কিনা। আগামি বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভায় এ বিষয়ে আলোচনা হবে।
গত মঙ্গলবার সাংসদদের একটি গ্রæপ এবং সীমান্তবর্তী শহরগুলোর মেয়ররা ট্রæডো এবং মার্কিন প্রেসিডেন্টে জো বইডেনের কাছে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করেছে, যাতে সীমান্তে “অপ্রয়োজনীয়” বিধি-নিষেধ তুলে নেয়ার আহবান জানানো হয়। তারা চিঠিতে বলেছে, এটি করা হলে মহামারীর কারণে ক্ষটিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে তাদের সহযোগিতা হবে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, যখন কোভিড-১৯ চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল এবং পণ্য আদান-প্রদানের হার কমানোর ক্ষেত্রে সীমান্ত ব্যবস্থা কার্যকর ছিল, তখন আমরা কানাডিয়ান এবং আমেরিকানদের নিরাপদ রাখতে আমাদের ভূমিকা পালন করেছি। এখন আমরা পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টায় পিছিয়ে পড়েছি কারণ উভয় দেশই মূলত স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনে ফিরে এসেছে।
বেশ কয়েকটি ট্রাভেল ও পর্যটন অপারেটর সংস্থা মহামারীকালীন ব্যবস্থা, বিশেষত গণহারে করোনা পরীক্ষা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে আসছে। কানাডার ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন সরকারকে এখনও বিমান ভ্রমণকারীদের জন্য মাস্কের বধ্যবাধকতা তুলে নেওয়ার আহবান জানিয়েছে।
সংস্থার একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা ফেডারেল সরকারকে ভ্রমণে অবশিষ্ট সব কোভিড-১৯ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য সুস্পষ্টভাবে আহ্বান জানিয়েছি। সূত্র :
সিবিসি