অনলাইন ডেস্ক : পোল্যান্ড-বেলারুশ সীমান্তের নিচে মাটির গভীরে তৈরি করা একটি গোপন সুড়ঙ্গের সন্ধান পেয়েছে পোল্যান্ডের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এই অবৈধ পথ ব্যবহার করে অনুপ্রবেশের অভিযোগে প্রায় ১৩০ জন অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। খবর আনাদোলু এজেন্সির।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) এই অভিযান চালানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, এই সুড়ঙ্গটি ব্যবহার করে মোট ১৮০ জনেরও বেশি বিদেশি পোল্যান্ডে প্রবেশ করেছিলেন।
পোলিশ প্রেস এজেন্সি (পিএপি) জানায়, এই সুড়ঙ্গটি সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া এবং পাশের একটি প্রযুক্তিগত সড়কের নিচ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছিল। পডলাসিয়ে অঞ্চলের নারোভকা গ্রামের কাছে সুড়ঙ্গটি আবিষ্কৃত হয়।
সুড়ঙ্গটি বেলারুশ সীমান্তের ভেতরে প্রায় ৫০ মিটার দূরে জঙ্গল থেকে শুরু হয়ে পোল্যান্ডের দিকে সীমান্ত বেড়া থেকে মাত্র ১০ মিটার দূরে শেষ হয়েছিল। এটি কয়েক দশ মিটার দীর্ঘ এবং প্রায় দেড় মিটার উঁচু ছিল।
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আন্দ্রেই ইউজভিয়াক জানান, ইলেকট্রনিক নজরদারি ব্যবস্থায় অস্বাভাবিক গতিবিধি ধরা পড়ার পরই কর্মকর্তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেন এবং ১৩০ জনের বেশি অভিবাসীকে আটক করেন।
সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আটককৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের নাগরিক। তবে, বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের নাগরিকও এই দলে রয়েছেন। প্রায় ৫০ জন অনুপ্রবেশকারী এখনো পলাতক থাকায় তাদের খোঁজে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং প্রশিক্ষিত কুকুর নিয়ে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এছাড়াও, অভিবাসীদের ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষারত দুজনকে মানবপাচার সহায়তাকারী সন্দেহে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন পোল্যান্ডের এবং অন্যজন লিথুয়ানিয়ার নাগরিক।
পোল্যান্ড-বেলারুশ সীমান্তে ২০২১ সাল থেকে অভিবাসন সংকট চলছে। পোল্যান্ডের অভিযোগ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে হাইব্রিড অভিযান হিসেবে বেলারুশ ইচ্ছাকৃতভাবে এই অবৈধ অভিবাসী প্রবাহকে উৎসাহিত করছে। চলতি বছর এটি সীমান্তে আবিষ্কার হওয়া চতুর্থ সুড়ঙ্গের ঘটনা।
