অনলাইন ডেস্ক : শীর্ষ আরব ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কূটনীতিকরা সপ্তাহান্তে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে মিলিত হচ্ছেন। তারা র্অথনৈতিক শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি গাজার চলমান যুদ্ধ নিয়ে বৈঠক করবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

কূটনৈতিক কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন বলে ইসরায়েলি গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।

আগামীকাল রবিবার রিয়াদে দু’দিনব্যাপী বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বিশেষ বৈঠক শুরু হচ্ছে। সোমবার দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে বিশেষভাবে গাজা নিয়ে আলোচনা হবে। এতে যোগ দিচ্ছেন ফিলিস্তিনের নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোস্তফা, মিসরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবৌলি এবং গাজা উপত্যকার জন্যে জাতিসংঘের ত্রাণ সমন্বয়কারী সিগ্রিড কাগ।
ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের মধ্যে ফরাসী পররাষ্ট্র মন্ত্রী স্টিফেন সেজার্ন গাজা যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার জন্য রিয়াদ সফরে আসছেন। এছাড়া তার ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সফরেরও পরিকল্পনা রয়েছে।

শুক্রবার এক কূটনৈতিক সূত্রে বলা হয়েছে, রিয়াদে গাজা ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপীয়ান, আমেরিকান ও আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এদিকে, মুখপাত্র সেবাস্তিয়ান ফেশার বলেছেন, জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালিনা বায়েরবক সোমবার রিয়াদে এসে পৌঁছাবেন এবং সিগ্রিড কাগ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানসহ অন্যান্যদের সাথে বৈঠকে যোগ দেবেন।

বার্লিনে সেবাস্তিয়ান ফেশার সাংবাদিকদের বলেছেন, বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সংকট, উত্তেজনা হ্রাস ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হবে।

উল্লেখ্য, সৌদি আরব কখনই ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি। কিন্তু হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলার আগে মার্কিন প্রশাসনের প্রচেষ্টায় ইসরায়েল ও সৌদি আরর এক ঐতিহাসিক চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল।

ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক বড় ধরনের হামলা চালায়। এ সময়ে তারা প্রায় এক হাজার ১৭০ ইসরায়েলিকে হত্যা এবং ২৫০ জিম্মিকে আটক করে। এখনও তাদের কাছে ১৫০ জিম্মি আটক রয়েছে।

এদিকে, ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলা শুরু করে যা এখনও চলছে। গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত এ হামলায় ৩৪ হাজার ৩৫৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।