Home আন্তর্জাতিক সৌদি-ইসরায়েলের সম্পর্ক ঠেকাতে গাজায় ঝরল ৫৩ হাজার প্রাণ

সৌদি-ইসরায়েলের সম্পর্ক ঠেকাতে গাজায় ঝরল ৫৩ হাজার প্রাণ

অনলাইন ডেস্ক : দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ঠেকাতে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।

গাজা থেকে হামাসের বৈঠকের কিছু নথি উদ্ধার করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সেনারা। সেগুলোর বরাতে শনিবার (১৭ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, হামাসের সাবেক প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার সৌদি-ইসরায়েলের সম্পর্ক স্থাপন নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন। কারণ দখলদারদের সঙ্গে সৌদি সম্পর্ক গড়লে তাদের স্বাধীন রাষ্ট্র পাওয়ার যে সম্ভাবনা আছে সেটি আড়ালে পড়ে যাবে বলে ধারণা করেছিলেন তিনি।

আইডিএফের পাওয়া একটি নথিতে সিনওয়ারের বক্তব্য ছিল এমন— “কোনো সন্দেহ নেই সৌদি-ইহুদিবাদীদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের কাজ খুব দ্রুত এগোচ্ছে। আর এ ধরনের কোনো চুক্তি হলে আরব ও ইসলামিক বিশ্বের অন্যান্য দেশ সৌদির পথ অবলম্বন করবে।”

দখলদার ইসরায়েলে হামাসের হামলার কয়েক মাস আগে সৌদি, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র সব দেশই বলছিল তাদের মধ্যে যেসব মতপার্থক্য রয়েছে সেগুলো ‘সরু’ হয়ে আসছে। অর্থাৎ ইসরায়েল ও সৌদি সম্পর্ক স্থাপনের দ্বারপ্রান্তে ছিল।

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। তবে এই স্বপ্নের জন্য গাজায় এখন পর্যন্ত ঝরেছে প্রায় ৫৩ হাজার প্রাণ। এছাড়া আহত হয়েছেন এক লাখের বেশি মানুষ।

অপর একটি নথিতে পাওয়া গেছে, হামাস পশ্চিমতীরেও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা বাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা করেছিল। যেন তাদের স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের বিষয়টি ধামাচাপা না পড়ে যায়।

হামাস অবশ্য তাদের এই প্রচেষ্টায় সফল হয়েছে। যুদ্ধের ৫০০ তম দিনের মাথায় সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান জানিয়েছেন, যতদিন গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হচ্ছে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়া শুরু না হচ্ছে ততদিন দখলদারদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের কাগজে তিনি স্বাক্ষর করবেন না।

সূত্র: ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল

Exit mobile version