অনলাইন ডেস্ক : বাৎসরিক স্কুল সেশন শুরু হতে দুই সপ্তাহেরও কম সময় বাকি। অথচ মন্ট্রিল এলাকার প্রায় ৩ লাখ শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে বাসের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। কারণ প্রদেশ ও পরিবহন সংস্থাগুলোর মধ্যে চুক্তির আলোচনায় অচলাবস্থায় বিরাজ করছে। বেসরকারী পরিবহন সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী ফেডারেশনের (এফটিএ) সভাপতি লুক লাফ্রেন্সের মতে, জুন মাসে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া মন্ট্রিল এবং এর আশেপাশে স্কুল বাস চালকেদের ৯৫ শতাংশের চুক্তি নবায়ন করা হয়নি।

লাফ্রেন্স বলেন, আলোচনা ‘সর্বত্র স্থবির’ হয়ে আছে, কারণ সরকার কোম্পানিগুলোর খরচের চাহিদা পূরণ করবে না। তিনি বলছিলেন যে, মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি এবং চালকের অভাবের কারণে খরচ এ বছর বেশি। তিনি বলেন, সরকার যা দিচ্ছে তা শিক্ষার্থীদের পরিবহন নিশ্চিত করার জন্য অপর্যাপ্ত। মহামারীতে বেশ কিছু ড্রাইভার চলে গেছে। এটা সহজ কাজ নয়। মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য আমাদের ভালো চুক্তির প্রস্তাব দিতে হবে।

গত স্কুল বছরে স্কুল বাস কোম্পানি অফিসের কর্মী এবং মেকানিকদের চালকের অভাবের কারণে সে জায়গায় অতিরিক্ত কাজ করতে হয়েছিল। লাফ্রেন্স বলেন, তিনি আরও ভালো বেতন দিতে সক্ষম হতে চান। মন্ট্রিল, লানাউদিয়ের এবং মন্টেরেগি এলাকাগুলো ক্লাস শুরু হওয়ার পর বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাসের ঘাটতি হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, বলেন লাফ্রেন্স।

মন্ট্রিল এলাকায় লেস্টার বি. পিয়ারসন স্কুল বোর্ড ও মার্গুরাইট বুর্জোয়াস সার্ভিস সেন্টারে সেবা দেয়া দুটি স্কুল বাস কোম্পানির মালিক অ্যান্ড্রæ জোনস বলেছেন যে, তিনি বেতনের কারণে কর্মচারীদের হারিয়েছেন। আমি তাদের টিম হর্টনস থেকে নিয়োগ করেছি এবং এখন তারা টিম হর্টনসে ফিরে যাচ্ছে, জোন্স ফোনে বলেন। তাদের বাচ্চাদের গাড়ি চালানোর চেয়ে কফি ঢালার জন্য বেশি অর্থ দেয়া হয়।

তিনি বলেন, সরকারী অর্থায়নের অভাবের কারণে স্কুল বোর্ড ও পরিষেবা কেন্দ্রগুলোর সাথে হওয়া চুক্তি মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি তাল মিলিয়ে চলতে পারেনি, যা প্রতিযোগিতামূলক বেতন প্রদানের বিষয়কে কঠিন করে তুলেছে। একজন বাস চালকের গড় বেতন প্রতি ঘণ্টায় ১৮ থেকে ১৯ ডলার। কিন্তু ড্রাইভার ইউনিয়ন চায় যে তা বাড়িয়ে ২৫ ডলার করা হোক।
জোনস বলেন, তিনি তার পরিবহন চুক্তির জন্য আরও ব্যয় না বাড়িয়ে ওই বেতন দিতে পারবেন না। তিনি বলেন, ইস্যুটি প্রথম জানুয়ারিতে কোম্পানিগুলো উত্থাপন করেছিল। কুইবেকের শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্কুল সার্ভিস সেন্টার ও স্কুল বোর্ড আলোচনার জন্য দায়ী। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসথার চৌইনার্ড সিবিসি নিউজকে একটি ইমেলে লিখেছেন, তারা এই কার্যক্রমে তাদের সমর্থন করার জন্য স্কুল নেটওয়ার্কের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করছে।

“আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমরা এমন একটি সমাধানে পৌঁছাব যা আমাদের শিক্ষার্থীদের পরবর্তী স্কুল বছরের হিসাবে একটি মানসম্পন্ন ও নিরাপদ পরিষেবা প্রদান করতে সক্ষম হবে,” বলেন এসথার। সূত্র : সিবিসি