অনলাইন ডেস্ক : ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নেতৃত্ব নিয়ে লেবার পার্টির ভেতরে উত্তেজনা বাড়ছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল জানিয়েছে, পার্টির এমপিদের পক্ষ থেকে যে কোনো নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ এলে স্টারমার তা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।
বিবিসির এক প্রতিবেদন সূত্রে খবর- স্টারমারের অনুগতরা আশঙ্কা করছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বাজেট ঘোষণার পরই তার নেতৃত্ব তাৎক্ষণিকভাবে হুমকির মুখে পড়তে পারে।
সমালোচকরা বলছেন, এ পরিস্থিতি প্রমাণ করে ডাউনিং স্ট্রিট এখন “পুরোপুরি প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে” আছে, যা সরকারকে বর্তমান সংকট থেকে উদ্ধার করতে পারবে না।
স্টারমারের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, কারণ তারা মনে করছেন, নেতৃত্ব পরিবর্তনের জন্য দলের ভেতরে গোপন তৎপরতা চলছে। তারা সতর্ক করে বলেছেন, এখন কোনো নেতৃত্ব পরিবর্তনের উদ্যোগ লেবার পার্টির জন্য ভয়াবহ ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে।
লেবার পার্টির এমপিদের মধ্যে যারা কিয়ার স্টারমারকে সরিয়ে নতুন নেতৃত্ব আনার কথা ভাবছেন, তাদের আলোচনায় উঠে এসেছে স্টারমারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন মন্ত্রীর নামই। এর মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রী ওয়েস স্ট্রিটিং ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী শাবানা মাহমুদের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করা হচ্ছে।
কেউ কেউ মনে করছেন, জ্বালানি মন্ত্রী এড মিলিব্যান্ড এবং সাবেক পরিবহন মন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য লুইস হেইগও নেতৃত্বের প্রতিযোগিতায় আগ্রহী হতে পারেন।
এক মন্ত্রী বলেছেন, স্টারমার এ লড়াই চালিয়ে যাবেন।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন ২০২১ সালের হার্টলপুল উপনির্বাচনের কথা, যেখানে পরাজয়ের পর স্টারমার এক সময় লেবার পার্টির নেতৃত্ব ছাড়ার কথাও ভেবেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, এটা কোনো হার্টলপুল মুহূর্ত নয়। স্টারমার লেবারের ইতিহাসে জীবিত মাত্র দুজন নেতার একজন, যিনি সাধারণ নির্বাচনে জয় পেয়েছেন। মাত্র ১৭ মাস পর তাকে চ্যালেঞ্জ করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
