হাসান আমিন : কানাডায় অ-নথিভুক্ত বসবাসকারীদের স্থায়ীকরণ ও নিয়মিতকরণের আহ্বান জানিয়ে গত রোববার দেশজুড়ে হাজার হাজার অভিবাসী এবং তাদের সমর্থকরা সমাবেশ করেছে। অ-নথিভুক্ত অভিবাসীদের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নিয়মিতকরণ কর্মসূচি দ্রুত বাস্তবায়ন করার জন্যও আহ্বান জানানো হয় সমাবেশ থেকে। কানাডায় বসবাসকারী অভিবাসীদের এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী দাবি।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, ফেডারেল সরকারের সা¤প্রতিক কার্যক্রমে মনে হচ্ছে প্রক্রিয়াটি শিগগিরই আলোর মুখ দেখবে। মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স অ্যালায়েন্স ফর চেঞ্জের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ হুসেন বলেছেন, কানাডায় অ-নথিভুক্ত বসবাসকারীদের মৌলিক অধিকার পূরণে তাদের যে আহ্বান তাতে সাড়া দিতে অটোয়ার জন্য এটি একটি উপযুক্ত মুহূর্ত।
অনেক বছর ধরে চলমান ভুল সংশোধন করার জন্য আমাদের কাছে এই মুহূর্তে একটি ঐতিহাসিক সুযোগ রয়েছে, বলেন হুসেন।” “আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে পার্লামেন্ট যেন কোনোভাবেই এ বিষয়ে বিলম্ব না করে।
অটোয়া স্বাস্থ্য খাতে কাজ করা আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন একটি নিয়মিতকরণ প্রোগ্রাম চালু করেছে। তারপর থেকে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রæডো উদ্যোগটি স¤প্রসারণে তার আগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
‘২০২১ সালের ডিসেম্বরের একটি আদেশপত্রে ট্রুডোর অভিবাসন এবং নাগরিকত্ব মন্ত্রীকে অ-নথিভুক্ত কর্মীদের জন্য, যারা যারা কানাডিয়ান কমিউনিটিতে অবদান রাখছে, তাদের স্ট্যাটাস নিয়মিত করার উপায়গুলো নিয়ে কাজ করতে বিদ্যমান পাইলট প্রোগ্রাম তৈরি করতে বলেছিল।
হুসেন বলেন, প্রোগ্রামটিতে সমস্ত অ-নথিভুক্ত লোকদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত এবং যেহেতু পার্লামেন্ট আগামী সপ্তাহে পুনরায় শুরু হতে যাচ্ছে; তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে, অভিবাসীদের বিষয়টি সরকারের ফোকাসে থাকা উচিত।
হুসেন আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি সঠিক কাজটি করতে চান। এখন প্রশ্ন হল, সবাইকে কি অন্তর্ভুক্ত করা হবে। আমরা বিশ্বাস করি যে সাম্যই সমতা, যে কাউকে বাদ দেয়াই বৈষম্য, তাই প্রতিটি অভিবাসী কর্মী বা শরণার্থী, ছাত্র এবং অ-নথিভুক্ত ব্যক্তিদের প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
অভিবাসন, শরণার্থী এবং নাগরিকত্ব মন্ত্রী শন ফ্রেজার এর একজন মুখপাত্র বলেছেন যে, অ-নথিভুক্ত অভিবাসী কর্মীদের জন্য স্ট্যাটাস নিয়মিত করার আদেশের প্রতিশ্রুতি প্রদানের কাজ চলছে, কারণ মন্ত্রণালয় বিশেষজ্ঞ এবং স্টেকহোল্ডারদের সাথে জড়িত।
আইডান স্ট্রিকল্যান্ড বলেছেন, মহামারী চলাকালীন স্বাস্থ্য-সেবায় কাজ করা আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য সা¤প্রতিক কর্মসূচি থেকে পাওয়া ফলাফলের ভিত্তিতে ভবিষ্যতের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, যেহেতু আমরা মহামারী থেকে বের হয়েছি, আইআরসিসি কানাডায় বসবাসকারী আরও বিদেশী নাগরিকদের তাদের স্থায়ী বাড়ি করতে সাহায্য করার জন্য নতুন উপায়গুলোর অনুসন্ধান চালিয়ে যাবে।
হুসেন বলেন, তিনি আশা করেছিলেন যে টরন্টো, মন্ট্রিল, এডমন্টন, ভ্যাঙ্কুভার, ফ্রেডেরিকটন এবং সেন্ট জনস সহ ১৩টি শহরে পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ এবং মিছিলে হাজার হাজার লোক উপস্থিত হবে। সূত্র : সিবিসি