অনলাইন ডেস্ক : হঠাৎ করে শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ জুন) রাত দেড়টার দিকে বেগম জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

এরআগে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের দুইজন সদস্য ড. এফ এম সিদ্দিকী ও ড. জাহিদ হোসেন ফিরোজার বাসভবনে গিয়ে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হাসপাতালে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গেছে।

খালেদা জিয়ার প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, হঠাৎ করে কিছুটা অসুস্থ বোধ করায় বাসায় রাখাটা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে বলা যাবে তিনি কতটা অসুস্থ এবং কী করণীয়। বিস্তারিত পরে জানাতে পারবো। আপাতত এর বাইরে কোনো তথ্য নেই।

এদিকে বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ম্যাডামের চিকিৎসায় গঠিত বোর্ড তাঁকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

রাত ১২টায় বেগম জিয়ার অসুস্থতার খবর শুনে দ্রুত বাসায় আসেন অধ্যাপক ডা জাহিদ হোসেন। পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের সাথে আলাপ করে দ্রুত বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।পরে রাত ১টা ২৩ মিনিটে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের গাড়িতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, বিএনপি চেয়ারপারসনকে। একই গাড়িতে শামীম এস্কান্দারের স্ত্রী কানিজ ফাতেমাও ছিলেন।

সর্বশেষ গত ২৯ এপ্রিল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন। ৫দিন পর তিনি মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে বাসায় ফেরেন।

এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলে।

৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা ও লিভারের রোগে ভুগছেন। ২০২১ সালের এপ্রিলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতা নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়। গত বছর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা ।