অনলাইন ডেস্ক : দুবাই প্রিন্সেস লতিফা বিনতে মোহাম্মদ আল মাকতুমের এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তিনি বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন সে ব্যাপারেও কোনো তথ্য নেই। পরিস্থিতি যখন এমন ঠিক তখনই দুইজন ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারী একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেটিতে দেখা যাচ্ছে, দুবাই শপিংমলে বসে পানীয় পান করছেন তিন তরুণী। এর মধ্যে মাঝখানের জন প্রিন্সেস লতিফা এবং বাকি দুইজন ছবি শেয়ার করা ইন্সটাগ্রাম ব্যবহারকারী। গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার পোস্টটি করা হয়েছে। আজ (২২ মে) এ খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ছবিটির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি বিবিসি। তবে, লতিফার এক বন্ধু নিশ্চিত করেছে যে, ছবির মাঝখানের নারীটি প্রিন্সেস। আর বাকি দুই নারীকেও তিনি চিনেছেন। অবশ্য ছবিটিতে কোনো তারিখ বা সময় উল্লেখ নেই। এমনকি কবে এই ছবিটি তোলা হয়েছে সেটিরও কোনো সত্যতা নেই।

ছবিতে আরো দেখা যাচ্ছে, পেছনে ‘ডেমন স্লেয়ার: মুগেন ট্রেন’ মুভির বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ড। যেটি গত ১৩ মে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মুক্তি পেয়েছে। এটি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করার পর ওই নারীদের মধ্যে একজন লিখেছেন, ‘বন্ধুদের সঙ্গে মনোরম সন্ধ্যা’। তবে ছবিতে থাকা অন্য দুই নারীর মধ্যে কেউই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। লন্ডনে অবস্থিত আমিরাতি দূতাবাসও এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বীকার করেছে।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের কেনেথ রথ বলেন, ছবিটিকে সত্য হিসেবে ধরে নিচ্ছি। এটিতে তার বেঁচে থাকার প্রমাণ দেখাচ্ছে, যা কিছু একটা। কিন্তু তার কারাবাস বা স্বাধীনতার সম্পর্কে কিছুই নেই।

এর আগে গত ১০ এপ্রিল হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (ওএইচসিএইচআর) কর্তৃক সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষের কাছে প্রিন্সেস লতিফার বেঁচে আছেন কিনা সে ব্যাপারে প্রমাণ চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনকে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য দেয়নি তারা।

জেনেভায় ওএইচসিএইচআরের নারী মুখপাত্র মার্টা হুর্তাদো তখন বলেছিলেন, আমাদের কাছে তার (প্রিন্সেস লতিফা) বেঁচে থাকার কোনো প্রমাণ নেই এবং আমরা সেটি (প্রমাণ) চাই। এমন কিছু যেটি প্রমাণ করবে যে, সে বেঁচে আছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিবিসি ও সিএনএন একটি গোপন ভিডিও প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যায়, ‘প্রিন্সেস লতিফা অভিযোগ করেন, তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। গোপন জায়গাটি একটি ভিলা, যেটিকে কারাগারে রুপান্তরিত করা হয়েছে। এবং সেখানে কোনো মেডিক্যাল সুযোগ-সুবিধা নেই।’

তখন ভিডিওটির জবাবে প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে দুবাইর রাজ পরিবার জানায়, বাড়িতেই আছেন লতিফা এবং পরিবার ও চিকিৎসকরা তার যত্ন নিচ্ছে।