Home কানাডা খবর ১৯ নভেম্বর থেকে টরন্টোতে ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’

১৯ নভেম্বর থেকে টরন্টোতে ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’

প্রায় ২ বছর পর আগামী ১৯ নভেম্বর ২০২১ থেকে কানাডার প্রেক্ষাগৃহগুলোতে আবার ফিরছে বাংলাদেশের সিনেমা। বাংলাদেশী সিনেমার আন্তর্জাতিক পরিবেশক প্রতিষ্ঠান স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো এর পরিবেশনায় ১৯ নভেম্বর কানাডা ও আমেরিকার ১৪টি মেইনস্ট্রিম মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পাচ্ছে মাসুদ হাসান উজ্জ্বল পরিচালিত রোমান্টিক ও মনস্তাত্ত্বিক ঘরানার সিনেমা ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’। এর মাধ্যমে কানাডার প্রবাসী বাংলাদেশিরা কোভিড পরবর্তী স্বাভাবিক জীবনযাত্রার আরো কাছে পৌঁছে যাবেন বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। ১৯ নভেম্বর থেকে সিনেমাটি দেখা যাবে ‘সিনেপ্লেক্স’ এর ‘এগলিন্টন টাউন সেন্টার (টরন্টো)’ ও ‘সিনেমা সিটি নর্থ গেইট (উইনিপেগ)’ লোকেশন ২টিতে।

বাংলাদেশে সিনেমার বাজার বেশ অনেকদিন থেকেই অস্থির। এর মাঝেই আন্তর্জাতিক পরিবেশক প্রতিষ্ঠান স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো বিশ্ববাজারে মোটামুটি নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের সিনেমা মুক্তি দিয়ে আসছিলো ২০১৬ সাল থেকে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত মুক্তি পায় ১৪টি বাংলাদেশি সিনেমা। দীর্ঘ বিরতির পর এবছর নভেম্বরে আবার কানাডার প্রেক্ষাগৃহগুলোতে বাংলাদেশি সিনেমার ফেরা নিয়ে স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো এর প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ অলিউল্লাহ সজীব বলেন, “কোভিড পরবর্তী সময়ে সবকিছু বিবেচনায় এটিই সঠিক সময় বাংলাদেশি সিনেমার নর্থ আমেরিকা মার্কেটকে আবার রিস্টোর করার। আমরা শুরু করতে যাচ্ছি ঠিক সেখান থেকে যেখানে আমরা মহামারির জন্য থেমেছিলাম। তবে এবারে আমাদের যাত্রা হবে বেশ জোরালো।”

কথা রাখতেই হয়ত ১৯ নভেম্বর বেশ বিস্তৃত পরিসরে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’। আমেরিকায় কোন বাংলাদেশি সিনেমার এত বড় পরিসরে মুক্তির ঘটনা এটাই প্রথম। সবকিছু ঠিক থাকলে, আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটির ৩টি, লস এন্জেলেস এর ২টি, ডালাস এর ১টি, অস্টিন এর ১টি, হিউস্টন এর ১টি, ওয়েস্ট পাম বিচ এর ১টি, নর্থ মিয়ামির ১টি, ফেয়ারফেক্স এর ১টি, হ্যানোভার/বাল্টিমোর এর ১টি এবং কানাডার টরন্টো ও উইনিপেগ শহরের ১টি করে থিয়েটারে একযোগে মুক্তি পাবে ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’। মোহাম্মদ অলিউল্লাহ সজীব বিষয়টি নিশ্চিত করে দারুণ এক আশা জাগানিয়া খবর দিলেন, “২০২৫ সালের মধ্যে ‘বাংলাদেশ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি’কে হলিউড, বলিউডের পর উত্তর আমেরিকার ৩য় বৃহত্তম সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে পরিণত করার অনেক বড় মিশন নিয়ে কাজ করছে স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো। কোভিড যেহেতু ২ বছর সময় নষ্ট করে দিয়েছে, এখন তাই বিস্তৃত পরিসরেই মুক্তি পেতে হবে ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ এবং এর পরবর্তী সব সিনেমাকে। সব পরিকল্পনা ঠিক থাকলে আগামি বছরই বাংলাদেশের সিনেমা উত্তর আমেরিকার ১০০টি মাল্টিপ্লেক্সে একসাথে মুক্তি পাবার মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলবে।“ স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো এর বাংলাদেশ অংশের প্রধান নির্বাহী সৈকত সালাহউদ্দিন যোগ করেন, “ঊনপঞ্চাশ বাতাস এর পর আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের সাথে একই দিনে মুক্তির জন্য বেশ কিছু দারুণ সিনেমা চূড়ান্ত হয়ে আছে।”

রেড অক্টোবর ফিল্মস প্রযোজিত চলচ্চিত্র ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ এ প্রধান চরিত্রে আছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ ও শার্লিন ফারজানা। দারুণ কিছু শ্রুতিমধুর গান করেছেন বাংলাদেশের বেজবাবা সুমন, শাওরিন, ভারতের সোমলতা, সিধু এবং পরিচালক মাসুদ হাসান উজ্জ্বল নিজে। বাংলাদেশে মুক্তি পেয়ে ইতোমধ্যে দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা পেয়েছে সিনেমাটি। এছাড়া, ১৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সমালোচক পুরস্কার ফিপ্রেসকি অ্যাওয়ার্ড ও লন্ডনে ২১তম রেইনবো চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা পরিচালকের পুরস্কার অর্জন করেছে ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’।

কানাডায় মুক্তি নিয়ে উচ্ছ্বসিত নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল বলেন, “বাংলাদেশে দর্শকপ্রিয়তার সাথে নানা আন্তর্জাতিক উৎসবে সেরা সিনেমার স্বীকৃতি পেয়েছে ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সিনেমা কানাডার দর্শকদের মন এবং বক্স অফিস দুটোই জয় করবে।”

Exit mobile version