অনলাইন ডেস্ক : গত কয়েক সপ্তাহ যাবত কুইবেকের বার ও রেস্টুরেন্ট মালিকেরা যে খবরটি শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন অবশেষে তা তারা পেয়েছেন। আগামী ১ নভেম্বর থেকে তারা তাদের বার ও রেস্টুরেন্ট পূর্ণমাত্রায় চালু করতে পারবেন। এতদিন তাদেরকে ৫০% আসন ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

চলতি মাস থেকে সিনেমা হল, জিমনেশিয়াম ও স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন স্থানে করোনার সব বিধি-নিষেধ তুলে নিলেও সরকার পানশালা ও রেস্তোঁরা থেকে তা তুলে নেয়নি। ফলে এসব খাবার দোকানের মালিকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। এখন ১ নভেম্বর থেকে তারাও পূর্ণমাত্রায় ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবেন।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী বার ও রেস্টুরেন্টে দুই টেবিলের মাঝে ২ মিটার এর পরিবর্তে এক মিটার দূরত্ব রাখলেই চলবে। এছাড়া পানশালাগুলো আগের মতো ভোর রাত তিনটা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। এত দিন রাত ১টা পর্যন্ত খাবার বিক্রি এবং ২ টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি ছিল।

এসব বিধি-নিষেধ তোলার জন্য গত কয়েক সপ্তাহ যাবত আন্দোলন করে আসছিলেন বার ও রেস্টুরেন্ট মালিকেরা। গত সপ্তাহে দ্য নিউ কুইবেক বার অ্যাসোসিয়েশন ফ্রাঙ্কো লেগো সরকারের প্রতি এক আবেদনে বার-রেস্টুরেন্ট থেকে সব বিধি-নিষেধ তুলে নেয়ার দাবি জানিয়েছিল। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পিয়েরে মিবাউলট বলেছেন, সেন্টার বেলে ১০ সেন্টিমিটার দূরত্বে ২২ হাজার লোককে বসার অনুমতি দেয়া হলেও বার-রেস্টুরেন্টে ২ মিটারের বিধি-নিষেধ বহাল রাখাটা অযৌক্তিক। তিনি বলেন, করোনা মহামারিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোর একটি হচ্ছে রেস্টুরেন্ট খাত। এই খাতের ক্ষতি পূরণের জন্য অবিলম্বে আগের নিয়মে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে।

অবশেষে তাদের দাবি মানলেও এখনো ফ্লোরে নাচ কিংবা গান-বাজনার অনুমতি এখনো মেলেনি। এছাড়া আন ভ্যাকসিনেটেডদের অবশ্যই মাস্ক পরে খাবার কিনতে আসতে হবে এবং তারা এখনো রেস্টুরেন্টে বা বারে বসে খাবারের সুযোগ পাবে না। এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে কুইবেকে সংক্রমণের হার ৪% বেড়েছে। গত বৃহস্পতিবার এক দিনেই নতুন আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪৪ জন এবং মারা গেছেন ২ জন। আক্রান্তদের ৩৮৪ জন আনভ্যাকসিনেটেড। কুইবেকে এখনো ১.৯ মিলিয়ন লোক টিকার বাইরে রয়ে গেছেন, যাদের মধ্যে ১.১ মিলিয়নের বয়স ১২ বছরের কম। এ পর্যন্ত এই প্রদেশে ১১ হাজার ৪৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। সূত্র : রেডিও কানাডা