
অনলাইন ডেস্ক : আগামী ২০শে সেপ্টেম্বর কানাডায় ৪৪তম ফেডারেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। গত ১৬ই আগস্ট, রবিবার সকাল ১০টা ২০ মিনিটে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো কানাডার গভর্ণর জেনারেল মেরী সাইমনের সাথে তাঁর সরকারি বাসভবন রিদ্যু হলে দেখা করে বর্তমানের সংসদ বিলোপের অনুরোধ করার পর এই ঘোষণা দেয়া হয়। উল্লেখ্য, গত ২০১৫ সালে লিবারেল পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করতে সক্ষম হলেও ২০১৯ সালের ফেডারেল নির্বাচনে লিবারেল পার্টির নেতৃত্বে সংখ্যালঘু সরকার দেশ পরিচালনায় রয়েছে। কোভিড ১৯ মহামারীতে দেশকে সুষ্ঠুভাবে সামনে এগিয়ে নেবার জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারের প্রয়োজন অনুভব করেই ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির পক্ষ থেকে এই নির্বাচনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গভর্ণর জেনারেল এর সাথে সাক্ষাতের পর উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রূডো বলেন, করোনাকালীন বিপর্যয়ের এই পরিস্থিতি থেকে কানাডাকে সঠিক পথে এগিয়ে নেবার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য এই মুহূর্তে দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকারের প্রয়োজন। তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, আগামী ফেডারেল নির্বাচনে কানাডা যদি একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার পায়, তাহলে কানাডাকে অর্থনৈতিক ও অন্যান্য দিক দিয়ে সুন্দর অবস্থার দিকে এগিয়ে নেয়া যাওয়া সম্ভব হবে।
কানাডার বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা এরিন ও তুলি প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার সমালোচনা করে বলেন, কারোনার চতুর্থ স্রোতে যখন দেশের মানুষ আতংকিত, তখন প্রধানমন্ত্রীর এমন একটি ঘোষণা দেশবাসীকে বিস্মিত করেছে। এনডিপির নেতা জগমিত সিং এমন এক পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর ফেডারেল নির্বাচনের ঘোষণাকে ‘স্বার্থপর’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে দেশে নির্বাচনের চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে যেগুলোর দিকে প্রধানমন্ত্রীর অনেক বেশী গুরুত্বের সাথে নজর দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। পার্টি কুইবেকের নেতা ফ্রাঙ্কোস বøান্সেত, এমন সময়ে একটা জাতীয় নির্বাচন আমাদেরকে আরও বেশী ঝুঁকির দিকে নিয়ে যেতে পারে। গ্রীণ পার্টির নেতা এনামে পল বলেন, দেশ যখন করোনা মহামারীর চতুর্থ স্রোতের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে, তখন সারাদেশব্যাপী সাধারণ নির্বাচন একেবারে হাস্যকর। তিনি বলেন, নির্বাচন মানে অনেক কিছু, যেখানে বিভিন্ন স্তরে অসংখ্য মানুষ প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকে। ফলে এই সময় নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, দেশকে মহামারীর কঠিন স্তরের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
দেশের এমন এক নাজুক অবস্থায় নির্বাচনের ঘোষণা দেশের মানুষের মধ্যে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। ফেডারেল নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্ধতা করবেন, তাঁদের প্রচার কাজের জন্য তারা পাঁচ সপ্তাহের মত সময় পাবেন।