অনলাইন ডেস্ক : ১৬ই ডিসেম্বর মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কানাডা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি গোলাম মাহমুদ মিয়ার সভাপতিত্বে দপ্তর সম্পাদক শেখ জসিম উদ্দীন ও সদস্য তাজুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় উক্ত সভায় বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী অংশ গ্রহণ করেন। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ চৌধুরী। এবারের বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে কিছুটা ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে এবারের বিজয় দিবস জাকঁজমক পূর্ণ ও বিশাল আয়োজনে পালন করার কথা থাকলেও, মহামারি করোনার কারণে সীমিত আকারে পালিত হচ্ছে। বক্তাদের বক্তব্যে আনন্দ-বেদনা ও হাসি-কান্নায় স্নাত মুক্তিযুদ্ধের মহান বিজয় অর্জনের প্রেক্ষাপট ও ইতিহাস ফুটে উঠে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশ ও ভারতের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মসমর্পণ করে। যুগযুগ ধরে পরাধীনতার গøানিতে নিমজ্জিত বাঙ্গালী জাতি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করেন। দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামে লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে বাংলাদেশের মানুষ ছিনিয়ে আনে বিজয়ের লাল সূর্য। বিজয়ের এই দিনে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ সম্ভ্রম হারানো মা-বোনদের। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে স¤প্রতি মৌলবাদী গোষ্ঠী দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ব্যাপারে সজাগ থেকে তাদের প্রতিহত করার ব্যাপারটাও আলোচনায় উঠে আসে। পাশাপাশি সকলের বক্তব্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়নের বিভিন্ন দিক ও কর্মকাণ্ড উঠে আসে। জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা তনয়ার যাদুকরী নেতৃত্বের পরশে ডিজিটাল সোনার বাংলায় পরিণত হয়েছে। অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, শিক্ষা, চিকিৎসা, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র সর্বত্রই উন্নয়ন ঘটিয়ে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হয়েছে। ছিটমহল বিনিময়, সমুদ্র সীমা বিজয় ও ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে জলে-স্থলে-অন্তরিক্ষে সর্বত্রই জননেত্রী শেখ হাসিনা উড়িয়ে দিয়েছেন আমাদের বিজয়ের পতাকা। নির্মাণাধীন আছে স্বপ্নের পর্দা সেতু, কর্ণফুলী নদীর ট্যানেল, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও মাতাবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর সহ অনেক উন্নয়ন প্রকল্প। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়।

আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডঃ আব্দুল আওয়াল, কানাডা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আমিন মিয়া, বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, অন্টারিও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মিলু, কানাডা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা বি এম বশির উদ্দীন, আলী আহমেদ, সহ-সভাপতি যথাক্রমে প্রকৌশলী সৈয়দ আব্দুল গাফ্ফার, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহিবুর রহমান, তোফাজ্জল আলী, যুগ্ম সম্পাদক নিরু চাকলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক যথাক্রমে ইয়াহিয়া আহমেদ, মুর্শেদ আহমেদ মুক্তা, ইমরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ বজলুর রহমান বেপারী, সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে আব্দুল মান্নান, মাসুদ সিদ্দিকী, মন্জুরুল চৌধুরী, ঝুটন তরফদার, সুকোমল রায়, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, আব্দুল হামিদ। অন্টারিও আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলী লিটন, সহ-সভাপতি যথাক্রমে প্রকৌশলী নওশের আলী, এডভোকেট রাধিকা রঞ্জন চৌধুরী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা হাসমত চৌধুরী জুঁই, উপদেষ্টা এডভোকেট আফিয়া বেগম, ক্যুইবেক আওয়ামী লীগের সভাপতি শহীদ রহমান, সহ-সভাপতি মাইনুল ইসলাম ও সাবেক ছাত্র মৈত্রী নেতা জিয়াউল হক জিয়া। কানাডা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হাসিনা আক্তার জানু, সদস্য রিনা আক্তারগু ছাত্রলীগের সভাপতি ওবায়দুর রহমান ও নতুন প্রজের তাইয়েফ আহমেদ। আলোচনা শেষে সভাপতি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।