Home কানাডা খবর ৫০০ বছর পরে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় ব্যাপক বন্যা

৫০০ বছর পরে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় ব্যাপক বন্যা

জরুরি অবস্থা জারি, নিহত চার, হাজার-হাজার লোক পানিবন্দি, হেলিকপ্টার ব্যবহার করে খাদ্য ও ওষুধ প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে
সুহেল ইবনে ইসহাক : একটি ঐতিহাসিক ঝড় যা মহাকাব্যিক পরিমাণে বৃষ্টিপাত তৈরি করেছে, গত সপ্তাহে উত্তর-পশ্চিম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার অংশ জুড়ে বিধ্বংসী, ব্যাপক বন্যার সূত্রপাত করেছে। ঝড়টি সীমান্তের উভয় পাশের হাজার হাজার বাসিন্দাকে বাস্তুচ্যুত করেছে এবং প্রায় এক সপ্তাহ পরেও হাজার হাজার আটকা পড়েছে। এতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একজন এবং কানাডায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে।ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় অনুসন্ধান এবং উদ্ধারকারীরা ভূমিধস এবং রাস্তা বন্ধের সংমিশ্রণে আটকে থাকা হাজার হাজার বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। “দ্য গার্ডিয়ান”র মতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আনুমানিক ১৮ হাজার মানুষ আটকা পড়ে আছেন।

বুধবার, জননিরাপত্তা এবং সলিসিটর জেনারেল বিষয়ক মন্ত্রী মাইক ফার্নওয়ার্থ, ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার জন্য একটি প্রাদেশিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।প্রেস রিলিজ অনুসারে, জরুরী অবস্থা “পরিবহন নেটওয়ার্ক এবং প্রয়োজনীয় পণ্য চলাচলের উপর প্রভাব প্রশমিত করতে” এবং প্রতিক্রিয়া এবং পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় ৫০০বছর পরে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে পরিস্থিতি মোকাবেলায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে দেশটি। বুধবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার বড় ধরনের সহায়তার প্রতিশ্রæতি দিয়েছে।প্রবল বৃষ্টি ও ভূমিধসে বহু সড়ক এবং রেলপথ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পার্বত্য অঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি ছোট শহর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত তিন জন নিখোঁজ রয়েছেন। প্রদেশে অন্তত চারজন মারা গেছে এবং উদ্ধার ও পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকায় হাজার হাজার আটকা পড়েছে। কানাডার স্থানীয় গনমাধ্যম সিপি-২৪ পাবলিক সেফটি মিনিস্টার মার্কো মেনডিসিনো‘র বরাত দিয়ে জানিয়েছে, পানিতে রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে এবং পার্বত্য অঞ্চলের লোকজন আটকে পড়েছে। অন্তত তিনজন নিখোঁজ রয়েছে। ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রিমিয়ার জন হরগান বলেন, ৫০০ বছরে এ ধরনের ঘটনা একবার ঘটে। সামনের দিনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। পাবলিক সেফটি মিনিস্টার মার্কো মেনডিসিনো বলেন, “আমরা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছি। তবে খাদ্য, ওষুধ, স্বাস্থ্য ও জরুরি কর্মীরা পৌঁছাবেন। কাউকে খাদ্য মজুদ না করার অনুরোধ করেছেন জন হরগান। এরই মধ্যে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে খাদ্য ও ওষুধ প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

Exit mobile version