অখিল সাহা, টরন্টো: বাংলাদেশে মৌলবাদী চক্রের ভাস্কর্য ভাঙা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের বিরুদ্ধে কানাডা প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক উদ্যোগ (পিডিআই)-এর যুগ্ম-আহ্বায়ক আজিজুল মালিক ও বিদ্যুৎ রঞ্জন দে এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা প্রকাশ ও সরকারের প্রতি সংশ্লিষ্ট দোষী ব্যক্তিবর্গ ও অন্তরালে থাকা উস্কানিদাতাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন। নেতৃবৃন্দ মনে করেন, এটি এমন একটি রাজনৈতিক সমস্যা যার সাথে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্র জড়িত রয়েছে এবং জনগণের অংশগ্রহণমুলক আন্দোলন ও কার্যকরী গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে এর প্রতিরোধ সম্ভব।

নেতৃবৃন্দ বিৃবতিতে উল্লেখ করেন, পবিত্র সংবিধান রক্ষার শপথ গ্রহণ করেও প্রতিক্রিয়াশীল পশ্চাৎপদ শক্তির সাথে আপোষ ও তাদের পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান, মদিনা সনদ নামে কতিপয় সাম্প্রদায়িক ও অসাংবিধানিক নীতির প্রতি স্বীকৃতি, পাঠ্যপুস্তক থেকে প্রগতিশীল লেখার অপসারণ, প্রগতিশীল ও মুক্তচিন্তা চর্চাকারীদের বিরুদ্ধে একতরফা ডিজিটাল আইনের প্রয়োগ, বেসরকারীকরণের মাধ্যমে শ্রমজীবি মানুষের দাবি-দাওয়া উপেক্ষা, সারাদেশে দুর্নীতির বিস্তার, নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ আইনের শাসন অকার্যকর করে তোলাসহ নানাবিধ কারণে সাধারণ মানুষের মনে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল ও সরকারের প্রতি মৌলবাদ বিরোধীতার সততা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করেছে। এই সন্দেহ থেকে জাতিকে মুক্ত করার দায়িত্ব একমাত্র সরকারের।

নেতৃবৃন্দ দেশের সাম্প্রতিক অতীতের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে জানান, যারা গণতান্ত্রিক চর্চা সম্মান করে না, তারা সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহনে অক্ষম। ক্ষমতার স্বার্থে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস ও মৌলবাদীদের সাথে সমঝোতা ও তোষণ কখনোই দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়। তাঁরা আরো মনে করেন, সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয় ও করোনাকালীন স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিপর্যয়ে ব্যর্থতা আড়াল করতেই মানুষের মধ্যে বিভেদসৃষ্টির অপপ্রয়াসে ধর্মীয় আবেগ নিয়ে উস্কানীমুলক বক্তব্যের পক্ষে সরকারের কারো কারো সম্পৃক্ততা দেখা যাচ্ছে। তাঁরা সাধারণ দেশবাসীকে এই জাতীয় প্ররোচনামুলক বক্তব্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জনান। এছাড়াও তাঁরা দেশের সকল বাম-প্রগতিশীল শক্তির প্রতি সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো এবং সরকারকেও পদক্ষেপ গ্রহনে বাধ্য করতে আন্দোলনের আহ্বান জানান।