বাংলা কাগজ ডেস্ক : করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত বন্ধ থাকা সত্বেও কানাডা আগামী দিনগুলোতে রেকর্ড সংখ্যক অভিবাসীকে গ্রহনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। ক্ষমতাসীন লিবারেল সরকারের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, কানাডায় বসবাসকারী বিদেশী এবং কানাডা আসতে আগ্রহী শিক্ষার্থী ও কর্মীর মাধ্যমে এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হবে।
অভিবাসন ও শরনার্থী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত জুন মাসে কানাডায় স্থায়ী বসবাসের জন্য ৪৫ হাজার ১০০ আবেদন জমা পড়েছে। এটি কানাডার ইতিহাসে একমাসে গ্রহণকরা সর্বোচ্চ সংখ্যক আবেদন। এছাড়া জুন মাসে কানাডা ৩৫ হাজার ৬০০ জনকে স্থায়ী বসবাসের অনুমোদন দিয়েছে। অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মার্কো মেডিসিনো বলেন, তার মন্ত্রণালয় এ বছর রেকর্ড ৪ লাখ ১ হাজার জনকে স্থায়ী নাগরিকত্ব দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। গত শুক্রবার এক সাক্ষাতকারে মন্ত্রী আরো বলেন, মহামরিসহ বিভিন্ন প্রতিক‚লতা সত্বেও তার দেশ বিশ্বে অভিবাসনের ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দানে বদ্ধ পরিকর। আর সে জন্যই আমরা এবছর ৪ লক্ষাধিক নতুন পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট গ্রহণ করব। যা কানাডায় ১ বছরে গ্রহণ করা স্থায়ী অভিবাসীর একটি রেকর্ড। এর আগে ১৯১৩ সালে কানাডায় সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৮১০ জন অভিবাসন গ্রহণ করেছিল। সে সময় কানাডার জনসংখ্যা ছিল মাত্র ৭.৬ মিলিয়ন। জনসংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই সে সময় সরকার এত বিপুল সংখ্যক লোককে কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমোদন দিয়েছিল। বর্তমানে কানাডার জনসংখ্যা ৩৮ মিলিয়ন। প্রতি বছরই দেশটি বিপুল সংখ্যক দক্ষ জনশক্তি গ্রহণ করে থাকে। এদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কানাডায় পড়তে আসা বিদেশি শিক্ষার্থী। করোনা মহারির কারণে ২০২০ সালে মাত্র ১ লাখ ৮৪ হাজার লোক কানাডায় স্থায়ী নাগরিকত্ব লাভ করে। এ সময় ৩ লাখ ৪১ হাজার জনকে পারমানেন্ট রেসিডেন্ট করার টার্গেট ছিল। কিন্তু মহামারিতে সীমান্ত বন্ধ থাকাসহ নানা প্রতিক‚লতায় টার্গেট পূরণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে নতুন করে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ২০২১ সালে ৪ লাখ ১ হাজার, ২০২২ সালে ৪ লাখ ১১ হাজার এবং ২০২৩ সালে ৪ লাখ ২১ হাজার নতুন স্থায়ী নাগরিক নেয়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সীমান্ত ও বিমান চলাচল বন্ধের মতো প্রতিবন্ধকতা যাতে অভিবাসন নীতিতে প্রভাব ফেলতে না পারে সে জন্য যারা ইতোমধ্যে কানাডায় অস্থায়ীভাবে বসবাস করে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছেন তাদেরকে স্থায়ীভাবে বসবাসের আবেদন করতে উৎসাহিত করা হয়েছে। সূত্র : দ্য গেøাবাল অ্যান্ড মেইল ও দ্য কানাডিয়ান প্রেস