অনলাইন ডেস্ক : অটোয়ায় ই-স্কুটার চালানোর সময় ওভারটেক করা নিয়ে দ্ব›েদ্বর জেরে ছুরিকাঘাতে নিহত এরিকের (১৯) খুনিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ।

গত বুধবার অটোয়া পুলিশের নরহত্যা বিষয়ক গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, এরিক যে বালকের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে তার বয়স ১৬। আত্মরক্ষার জন্য সে ওই খুন করতে বাধ্য হয়েছে বলে তদন্ত কর্মকর্তাদের বিশ্বাস। তাই এই ঘটনায় ওই বালকের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হবে না। পুলিশের তদন্ত সূত্রে জানা গেছে গত ২৬ জুলাই সন্ধ্যায় নিজের ১৯ তম জন্মদিনে বন্ধুকে নিয়ে ই-স্কুটারে রাস্তায় বের হয়েছিল এরিক হাওয়ার।

ই-স্কুটার চালাচ্ছিল তার বন্ধু যার পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ। এক পর্যায়ে রাস্তায় ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করে এরিকের বন্ধু। এ নিয়ে ১৫ ১৬ ও ১৭ বছর বয়স্ক ৩ বালকের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা হাতাহাতি ও ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এরিক ওই ৩ বালকের একজনকে মারধর করে রাস্তায় ফেলে পা দিয়ে চেপে ধরে। এসময় ১৬ বছর বয়স্ক অন্য বালক পকেট থেকে ছুরি বের করে এরিক ও তার বন্ধুকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। এরিকের পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাত করা হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে এরিকের বন্ধুকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ঘটনার তদন্ত শেষে পুলিশ গত শুক্রবার এ বিষয়ে কোনো চার্জশিট না দেওয়ার ঘোষণা দেয়। পুলিশের এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় এরিকের ভাই ব্রেন্ডন হাওয়ার (২৭) বলেন, রাস্তার সামান্য কলহে একজনের প্রাণ যাবে কেন? তিনি বলেন সবারই আত্মরক্ষার অধিকার আছে- একথা যেমন সত্য, তেমনি এটাও সত্য যে সেদিন যদি ওই বালকদের কাছে অস্ত্র (ছুরি) না থাকতো তাহলে হয়তো এরিককে তার ১৯ তম জন্মদিনে এভাবে নির্মম খুনের শিকার হতে হতো না।

ওই দিনের ঘটনায় দুপক্ষের দোষ ছিল- একথা স্বীকার করে ব্রান্ডন বলেন, সবাই অপরাধ করলেও আমার ভাইকেই শুধু চরম মূল্য দিতে হলো। তিনি বালক ও কিশোরদের বেআইনি অস্ত্র বহনের বিরুদ্ধে পুলিশকে আরো কঠোর হওয়ার দাবি জানান। সূত্র : সিবিসি