অনলাইন ডেস্ক : কানাডিয়ান রিয়েল এস্টেট অ্যাসেসিয়েশন জানিয়েছে গত বছরের তুলনায় দেশটিতে ফ্লাটের দাম রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে তারা জানায়, কানাডাতে রিয়েল এস্টেট সেক্টরে মূল্যবৃদ্ধির মাত্রা ‘বিপজ্জনক’ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। গত বছর এই সময়ের তুলনায় ফ্লাটের বর্তমান মূল্য প্রায় ১৪% বেড়েছে।
করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের সব দেশের মতো কানাডাতেও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। গত আগস্টে হিসেব অনুযায়ী দেশটিতে ‘কস্ট অব লিভিং’ বৃদ্ধির হার ছিল ৪%। গত ২০ বছরের মধ্যে এই হার সর্বোচ্চ। অর্থাৎ জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে ফ্লাটের মূল্য বৃদ্ধি তুলনা করলে দেখা যায় যে এটি প্রায় ৪ গুণ বেশি। কানাডা রিয়েল এস্টেট অ্যাসোসিয়েশন (সি আর ই এ) বলেছে, টরন্টো ও ভ্যাঙ্কুবারে বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি। গত ১২ মাসে ওই দুই শহরে বাড়ির মূল্য বেড়েছে ২১.৫%, যা সত্যিকার অর্থেই ‘অস্বাভাবিক’। এম এল এস হাউস প্রাইস ইন্ডেক্সেও একই চিত্র দেখা গেছে। সি আর ই এ সভাপতি ক্লিফ স্টিভেনসন বলেন, সাধারণত চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকলে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়। কিন্তু কানাডার রিয়েল এস্টেট সেক্টরে এখনো এ ধরনের চরম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। তারপরও এই খাতে অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি সত্যিই চিন্তার বিষয়। এই মূল্য বৃদ্ধি দেশের রিয়েল এস্টেট সেক্টরের জন্য অশনি সংকেত হয়ে দেখা দিতে পারে।
সুইস ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, টরন্টো ও ভ্যাঙ্কুবারের হাউজিং সেক্টর খুবই ঝুঁকির মধ্যে আছে। তারা বিশ্বের ২৪ টি বড় শহরের চিত্র তুলে ধরে বলেছে, জার্মানির ফ্রাঙ্কফুটের পর টরন্টোতেই বাড়ির মূল্য বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি। সুইস ব্যাংকের তালিকা অনুযায়ী ফ্লাটের মূল্য বৃদ্ধিজনিত হুমকির মুখে থাকা শহরগুলো হচ্ছে- ফ্রাঙ্কুফুট স্কোর (২.১৬), টরন্টো (২.০২), হংকং (১.৯০), মিউনিখ (১.৮৪), জুরিখ (১.৮৩), ও ভ্যাঙ্কুবার (১.৬৬)। সূত্র : সিবিসি