বিনোদন ডেস্ক : উপহার পেতে কার না ভালো লাগে? জীবনে উপহার পাননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। অনেক উপহারের মধ্যেও কিছু থাকে দামি, যা সারাজীবন মনে থাকে। আমাদের আজকের আয়োজন হলিউড তারকাদের পাওয়া তেমন কিছু উপহার নিয়ে, যা কল্পনাকেও হার মানায়…

নিক জোনাস-প্রিয়াংকা চোপড়া
২০১৯ সালের ১ মার্চ ‘সাকার’ গানটি মুক্তির পরই উঠে আসে বিলবোর্ডের এক নম্বরে। নিজের এই সাফল্য উদযাপন করতে গায়ক নিক তার স্ত্রী প্রিয়াংকাকে উপহার দেন একটি উভচর মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি। এই গাড়ির নকশা এমনভাবে করা হয়েছে, যা চলতে পারে জল, স্থল ও আকাশপথে। তিন হাজার সিসির ই-১৮০ ইঞ্জিনের গাড়িটির দাম ৪ কোটি টাকা। গাড়ির ছবি পোস্ট করে স্বামীর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেছিলেন ‘বাজিরাও মাস্তানি’ তারকা।

জর্জ ক্লুনি
দুইবার অস্কারজয়ী অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও নির্মাতা জর্জ ক্লুনি। গত বছর তিনি জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে ১৪ বন্ধুকে ১০ লাখ ডলার উপহার দিয়েছিলেন। কাছের মানুষরা তার জীবনে যে অবদান রেখেছেন- সেটির প্রকাশই ছিল এই আর্থিক ভালোবাসা। করোনা মহামারীর সময়েও বসে থাকেননি জর্জ। স্ত্রী আমাল ক্লুনিকে সঙ্গে নিয়ে ছয়টি আন্তর্জাতিক তহবিলে ৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা সহায়তা দেন এই তারকা দম্পতি।

কর্টনি-অ্যানিস্টোন
‘ফ্রেন্ডস’ সিরিজ থেকেই অ্যানিস্টোনের সত্যিকারের বন্ধু হয়ে যান কর্টনি কক্স। একবার মার্কিন অভিনেত্রী সাইকেল চালানোর ইচ্ছা প্রকাশ করার পর সেটি শুনে কর্টনি তাকে উপহার দিয়েছিলেন ১০ কোটি ১৩ লাখ টাকার একটি সাইকেল। উপহারের বাইরে নগদ টাকা দেওয়ার কথাও শোনা যায় তখন।

মার্ক অ্যান্থনি-জেনিফার লোপেজ
বেন অ্যাফ্লেকের পর মার্কিন গায়ক ও অভিনেতা মার্ক অ্যান্থনির সঙ্গে প্রণয়ে জড়ান লোপেজ। তবে ২০১২ সালে তারা সাত বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন। ২০০৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি যমজ সন্তান ইমি ও ম্যাক্সিমিলিয়ান জন্মের পর লোপেজকে হলুদ হীরার আংটি উপহার দিয়েছিলেন অ্যান্থনি। সেটির দাম ছিল ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। দুই বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০১৯ সালে অ্যালেক্স রদ্রিগেজের সঙ্গে আংটি বদল করেন লোপেজ।

ব্র্যাড পিট-অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
তাদের প্রেম যদিও অতীত; কিন্তু তা ছিল অত্যন্ত উজ্জ্বল। না হলে কি আর তা নিয়ে এখনো আলোচনা হয়? পিটের ৫০তম জন্মদিনে একটি বিশেষ উপহার দিয়েছিলেন প্রেমিকা জোলি। সেটিই ছিল হলিউডের সবচেয়ে দামি উপহার। কী ছিল সেই উপহার? বাড়ি নয়, গাড়ি নয়, হীরাও নয়- পিটকে হৃদয় আকৃতির একটা দ্বীপ দিয়েছিলেন জোলি। সাত বছর আগে দ্বীপটির দাম ছিল ১ কোটি ২২ লাখ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যা ১০৩ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।