অনলাইন ডেস্ক : কানাডার উত্তরাঞ্চলীয় নুনাভুট টেরিটরিতে মর্গ না থাকায় লাশ সংরক্ষণ নিয়ে সংকটে আছেন এলাকাবাসী। একটি মর্গ নির্মাণের জন্য বার বার আবেদন জানানো সত্বেও সরকার তাদের দাবি পূরণ করছে না। ফলে লাশের পোস্টমর্টেম করানোর জন্য দিনের পর দিন তাদের অপেক্ষা করতে হয়।

টেরিটরির প্রবীণ বাসিন্দা জেমস ডুলাকস বলেন, ২০১৯ সালে তার এক বন্ধুর অপমৃত্যু হয়েছে। পোস্ট মর্টেমের জন্য লাশ হিমঘরে রাখা হয়েছে। সেখানে আরো লাশের সাথে পড়ে আছে তার বন্ধুর লাশ। দীর্ঘ সময়ে লাশগুলো বরফের মতো শক্ত হয়ে গেছে। অনেক লাশ জমে থাকায় একটি লাশের ওপর আরেকটি লাশ রাখতে হচ্ছে। মেঝেতে অনেক স্থানে রক্ত জমার্ট বেঁধে আছে। এসব বিষয় জানিয়ে ওই অঞ্চলে একটি মর্গ নির্মাণের দাবিতে স্থানীয় এম এল এ. টনি আকোয়াককে চিঠি লিখেছেন জেমস ডুলাকস। চিঠিতে তিনি বলেন, তার বন্ধুর লাশের এমন অবস্থা হয়েছে যে সেটি স্থানান্তরের জন্য কফিনে তোলাই এখন সমস্যা হবে। মর্গের অভাবে পুরানো ‘স্টোরেজ শেডে’ মৃতদেহ রাখার আর স্থান সঙ্কুলান হচ্ছে না। নতুন করে কোন অপমৃত্যু হলে লাশ রাখা নিয়ে আমাদের বিপদে পড়তে হবে। বিষয়টি সত্যিই হৃদয়বিদারক। এ বিষয়ে এম এল এ আকোয়াক বলেন, আমি এ পর্যন্ত বিষয়টি ৬ বার সংসদে উত্থাপন করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। সরকার বার বার মর্গ নির্মাণে ফান্ড না থাকার কথা বলে বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে। তিনি আবারও মর্গ নির্মাণের দাবি সংসদে তুলবেন বলে জানান। তিনি বলেন, মৃতদের প্রতি আমাদের যথাযথ সম্মান দেখানো উচিত।
তাদেরকে শান্তিতে সমাহিত করা আমাদের দায়িত্ব। তিনি আগামী ১ বছরের মধ্যে নুনাভুটে মর্গ নির্মাণ করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন। এদিকে জেমস ডুলাকস ক্ষোভ প্রকাশ করে কানাডিয়ান প্রেসকে বলেন, অটোয়া, মন্ট্রিল বা টরন্টোতে কি আমাদের মতো অস্থায়ী শেডে লাশ রাখা হয়? তাদের জন্য আধুনিক মর্গ থাকলে আমাদের জন্য কেন থাকবে না? তিনি তার এলাকায় একটি মর্গ নির্মাণের জন্য টেরিটরিয়াল ও ফেডারেল সরকারের কাছে জোর দাবি জানান। সূত্র : সিবিসি