শাহনুর চৌধুরী : কানাডায় গত মাসে বেকারত্ব ০.৫ শতাংশ বেড়ে ৬.৫ শতাংশে দাড়িয়েছে। পরিসংখ্যান কানাডার মতে জানুয়ারিতে দেশজুড়ে প্রায় ২ লাখ লোক চাকুরি হারিয়েছে। গত শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রনের সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে চাকুরির বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফিরে এসেছে। নতুন বিধি-নিষেধ আরোপ এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে অনেকেই চাকুরিচ্যুত হয়েছেন। এছাড়া অনেকে করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারনে বাধ্যতামূলকভাবে কাজে অনুপস্থিত থাকছেন।

পরিসংখ্যান কানাডার হিসাব অনুযায়ী জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি লোক চাকুরি হারিয়েছে কুইবেক ও অন্টারিওতে। এই দুই প্রদেশে প্রথম ওমিক্রনের সংক্রমণ শুরু হয় এবং পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার ‘লক ডাউনের’ ঘোষণা দেয়। কুইবেকে বর্তমানে বেকারত্বের হার ৫.৪ শতাংশ। গত মাসে এই হার বেড়েছে ১.৪ শতাংশ। অন্টারিওতে কর্মসংস্থান কমেছে ১.৯ শতাংশ। নিউ ব্রান্সউইকে জানুয়ারিতে চাকুরি হারিয়েছে ৩ হাজার ১০০ জন (০.৯%), সেখানে বর্তমানে বেকারত্বের হার ৮.৫। প্রিন্স এডওয়ার্ড আয়ল্যান্ডে জানুয়ারিতে চাকুরি হারিয়েছে ২ হাজার ৯০০ জন ( ৩.৫%), সেখানে বেকারত্বের হার ১.৯ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৬ শতাংশে। অন্যদিকে নোভাস্কশিয়ায় বর্তমান বেকারত্বের হার ৭ শতাংশ এবং কানাডায় এখন সবচেয়ে কম বেকারত্ব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া ও ম্যানিটোবায় (৫.১)। জানুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি কর্মহীন হয়েছেন খাদ্য খাতের কর্মীরা। ওই সময়ে হোটেল রেস্তোঁরায় কর্মরত প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার জন বেকার হয়েছেন। এছাড়া রিটেইল খাতে কর্মহীন হয়েছেন ২৬ হাজার জন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, দেশে জানুয়ারিতে কর্মহীনের সংখ্যা তাদের ধারণার প্রায় দ্বিগুণ। এটি দেশের সার্বিক অর্থনীতির জন্য একটি ‘অশনিসঙ্কেত’। সূত্র : সিবিসি ও রেডিও কানাডা