অনলাইন ডেস্ক : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দেখতে এসে আহত হয়েছেনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তিনিসহ তার দলের কয়েকজন এ হামলার শিকার হন। গণসংহতির নেতাদের অভিযোগ, জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ার পর এ হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ।
হামলায় আহতদের অন্যতম হলেন গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমি ও সদস্যসচিব ফরহাদ জামান, ছাত্র ফেডারেশনের চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক শ্রীধাম কুমার শীল, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান ও জসীম উদ্দিন এবং সদস্য কামরুন নাহার ডলি।
গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য শহীদ শ্যামল বলেন, ‘ঢাকা থেকে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিসহ কেন্দ্রীয় নেতারা বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে এসেছিলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে বের হয়ে যাওয়ার সময় তার ওপর জয় বাংলা বলে হামলা করে ছাত্রলীগ। এ সময় তার গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলার পর সাকিসহ আহতরা শেভরন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হামলায় আমাদের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
তবে সাফায়েত হোসেন নামের এক প্রত্যক্ষ্যদর্শী দাবি করেছেন সাকির ওপর ছাত্রলীগ নয়, সাধারণ মানুষ হামলা করেছেন। তিনি বলেন, ‘সাকি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা শেষে দলবল নিয়ে বিভিন্ন বুথে ঘুরছিলেন। তখন ইমার্জেন্সি থেকে মেইন গেটে যাওয়ার সময় ওনাদের লোকজনের পেছনে দুটি অ্যাম্বুলেন্স আটকা পড়ে। তাই পাবলিক ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের দিকে তেড়ে যায়।’
গণসংহতি নেতাদের ওপর হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। তিনি বলেন, ‘এটা ভাইরাল হওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতা। সে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী নাকি। তার ওপর কেন হামলা হবে? সীতাকুণ্ডের বিস্ফোরণের পর থেকে তো হাজার হাজার মানুষ আসছে, কই কারও তো কোনো সমস্যা হয়নি। এমনকি ওনার আগে তো আমির খসরু সাহেব এসেছেন। তিনিও তো ঠিকঠাক চলে গেছেন।’