অনলাইন ডেস্ক : কাশ্মীর নিয়ে ভারত পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ চলছে কয়েক দশক ধরে। এটিকে কেন্দ্র করে দুই পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র দুইবার যুদ্ধে জড়িয়েছে। গত মাসে কাশ্মীরের পহেলগামে হামলা নিয়েও পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের আশঙ্কায় আতঙ্কে ছিলেন দুই দেশের বাসিন্দারা। তবে চারদিনের পাল্টাপাল্টি হামলার পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লি। আর এই আবহের মধ্যেই কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে দুই দেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছার একদিন পর রোববার (১১ মে) নিজের মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এ আগ্রহের কথা জানান।

পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘এখনই আগ্রাসন থামানো উচিত, দুই দেশের নেতারা যে তা বুঝতে পেরেছে, তার জন্য আমি গর্বিত। এই সংঘর্ষে অনেক নিরীহ মানুষের মৃত্যু হতে পারত। কিন্তু যেভাবে দুই দেশ এগিয়ে এসে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে, তা প্রশংসার যোগ্য। দু’দেশের মধ্যে যে সামরিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তা প্রশমিত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ভূমিকা নিয়েছে, তার জন্যও আমি গর্বিত।’

পোস্টে ট্রাম্প কাশ্মীর সমস্যা নিয়েও মুখ খুলেছেন। তিনি জানান, কয়েক দশক ধরে চলা কাশ্মীর সমস্যা মেটাতে তিনি আগ্রহী। দু’দেশের সঙ্গেই এ বিষয়ে কাজ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি বলেন, ‘এই সমস্যার সমাধানের যাতে একটি রাস্তা বেরিয়ে আসে, তার জন্য ভারত-পাকিস্তান দু’দেশের সঙ্গেই কাজ করতে আমি আগ্রহী। ভারত এবং পাকিস্তান যেভাবে যুদ্ধবিরতিতে উদ্যোগী হয়েছে, তা সত্যিই উল্লেখযোগ্য।’

পোস্টে দু’দেশের সঙ্গেও বাণিজ্যিক বিষয়ে সম্পর্ক মজবুত করার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘যদিও আলোচনা করা হয়নি, আমি এই দুটি দেশের সাথেই বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে যাচ্ছি।’

কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে ট্রাম্পের এই প্রস্তাবে ভারত ও পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে বিষয়টি দিল্লির জন্য কিছুটা অস্বস্তিকর হবে বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ কাশ্মীর নিয়ে ভারতের নীতি হলো কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপকে স্বাগত না জানানো।

এর আগে শনিবার বিকেলে যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেন ট্রাম্প। তিনি জানান, রাতভর আলোচনার পর দুই প্রতিবেশী দেশ তাৎক্ষণিকভাবে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে।

আরেক পোস্টে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে ৪৮ ঘণ্টার আলোচনার পর তারা যুদ্ধ বন্ধে রাজি হন। ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই ভারত ও ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।