স্পোর্টস ডেস্ক : মিরপুরে স্পিনের ঘূর্ণিতে ধসে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ! সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটে-বলে দারুণ আধিপত্য দেখিয়ে ১৭৯ রানের বিশাল জয়ে ক্যারিবীয়দের গুঁড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্য দিয়ে দেড় বছর পর ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল টাইগাররা।

বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেওয়া ২৯৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩০.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১৭ রানেই গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে ২–১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় লাল-সবুজরা।

টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৬ রান তোলে বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত ওপেনার সৌম্য সরকার ও সাইফ হাসান ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৭৬ রানের রেকর্ড উদ্বোধনী জুটি গড়েন।

সৌম্যর ব্যাট থেকে আসে ৮৬ বলে ৯১ রান (৭ চার, ৪ ছক্কা), আর সাইফ খেলেন ৭২ বলে ৮০ রান (৬ ছক্কা, ৬ চার)।এরপর মিডল অর্ডারে নাজমুল হোসেন শান্ত (৫৫ বলে ৪৪) ও তাওহিদ হৃদয় (৪৪ বলে ২৮) রানের চাকা সচল রাখলেও শেষদিকে ব্যর্থ হন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও রিশাদ হোসেন।

ইনিংসের শেষভাগে নুরুল হাসান সোহান (৮ বলে অপরাজিত ১৬) ও মেহেদী হাসান মিরাজ (১৭ বলে ১৭) দলের পুঁজিটা তিনশর কাছাকাছি নিয়ে যান।ক্যারিবীয়দের হয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন আকিল হোসেন১০ ওভারে ৪১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট।২৯৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই ধস নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংয়ে। মাত্র ৫ ওভারেই নাসুম আহমেদের ঘূর্ণিতে প্রথম তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা।

নাসুমের প্রথম শিকার আলিক আথানজে (এলবিডব্লিউ)।এরপর ফেরান আকিম অগাস্টে (০) ও ব্রেন্ডন কিংকে (১৮)। মিডল অর্ডারের ভরসা শাই হোপকেও (৪) ফিরিয়ে দেন তানভীর ইসলাম, আর রিশাদ হোসেনের বলে ক্যাচ তুলে দেন শারেফানে রাদারফোর্ড (১২)।

এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষদিকে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন দশ নম্বরে নামা আকিল হোসেন, যার ব্যাট থেকে আসে দলের সর্বোচ্চ ২৭ রান। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন নাসুম আহমেদ ও রিশাদ হোসেন দুজনেই ৩টি করে উইকেট নেন। তানভীর ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ তুলে নেন ২টি করে উইকেট।

শেষবার ২০২৩ সালের মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। এর দেড় বছর পর আবারও সিরিজ ট্রফি হাতে তুলল টাইগাররা। ওপেনারদের আগ্রাসী ব্যাটিং ও স্পিনারদের বিধ্বংসী বোলিংসব মিলিয়ে মিরপুরে ছিল একদমই একতরফা বাংলাদেশি আধিপত্য।