অনলাইন ডেস্ক : ধনী ব্যক্তিরা ব্যতিত প্রত্যেক মার্কিন নাগরিককে ২ হাজার ডলার করে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ লাখ ৪৪ হাজার টাকা) দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তারাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই ঘোষণা এমন সময় এসেছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্পের শুল্ক নীতির সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং সরকারের অচলাবস্থার কারণে খাদ্য সহায়তা কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে।
রোববার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘প্রত্যেককে অন্তত ২ হাজার ডলারের লভ্যাংশ দেওয়া হবে (উচ্চ আয়ের মানুষদের বাদ দিয়ে)।’
মূলত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর আরোপিত বাণিজ্য শুল্ক থেকে যে রাজস্ব আসছে সেখান থেকেই দেওয়া হবে এই অর্থ। তবে এই প্রস্তাব কার্যকর করতে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট মার্কিন এবিসি নিউজকে জানিয়েছেন, এই ২ হাজার ডলারের লভ্যাংশ নানা উপায়ে দেওয়া হতে পারে। এতে কর ছাড়ও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে— যেমন বখশিশ ও ওভারটাইম আয়ের ওপর কর না নেওয়ার ব্যবস্থা।
ট্রাম্প তার শুল্কনীতির পক্ষে অবস্থান নিয়ে পোস্টে আরও বলেন, ‘যারা শুল্ক নিয়ে বিরোধিতা করে, তারা বোকা! এখন আমেরিকা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও মর্যাদাপূর্ণ দেশ। এখানে মুদ্রাস্ফীতি প্রায় নেই বললেই চলে এবং শেয়ারবাজার রেকর্ড উচ্চতায় রয়েছে। শুল্ক থেকে ‘ট্রিলিয়ন ডলার’ রাজস্ব আয় হচ্ছে, যা দিয়ে শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল ৩৭ ট্রিলিয়ন ডলারের ঋণ পরিশোধ শুরু করব।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে দীর্ঘতম সরকারি অচলাবস্থা বা শাটডাউনের অবসান ঘটাতে চুক্তিতে পৌঁছেছেন সিনেটররা। মূলত সিনেটে এমন একটি চুক্তি হয়েছে যা ৪০ দিনব্যাপী দীর্ঘ শাটডাউনের অবসান ঘটাতে পারবে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস। তবে এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার আগে প্রতিনিধি পরিষদের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
এর আগে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সিনেটররা আলোচনায় বসলেও শনিবার দিনভর বৈঠক শেষে কোনও অগ্রগতি হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রোববার রাতে এ নিয়ে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সিনেটরদের মধ্যে সমঝোতা বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। এরপরই সিদ্ধান্ত হয় ভোটের। এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সরকারি সেবাগুলো সম্পূর্ণভাবে পুনরায় চালু হওয়ার পথ খুলে দিতে পারে। তবে ভোট প্রদানের মাধ্যমে শাটডাউনের অচল অবস্থা কাটার ইঙ্গিত মিললেও এ নিয়ে এখনও বেশি কিছু বাঁধা রয়ে গেছে। কেননা এই চুক্তি পুরোপুরি কার্যকর হতে কতদিন সময় লাগবে এবং এ চুক্তি টেকসই হবে কী-না – তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সূত্র: এনডিটিভি






