অনলাইন ডেস্ক : অর্থায়ন কমে যাওয়ায় ২০২৬ সালে তীব্র ক্ষুধার মুখে থাকা ৩১ কোটি ৮০ লাখ মানুষের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশকে খাদ্য সরবরাহ কঠিন হয়ে পড়বে বলে সর্তক করে দিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব ক্রমশই ক্ষুধা সংকেটর মুখোমুখি হচ্ছে এবং চাহিদার তুলনায় সম্পদের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এতে বিশ্বব্যাপী মানবিক সহায়তার অর্থায়ন কমে আসায় ডব্লিউএফপি প্রায় এক-তৃতীয়াংশ (প্রায় ১১ কোটি) ক্ষুধার্ত মানুষকে খাদ্য সহায়তায় অগ্রাধিকার দিতে বাধ্য হচ্ছে। এতে আনুমানিক ১৩ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন হবে।
তবে সংস্থাটি সতর্ক করে বলছে, বর্তমান অর্থায়নের পূর্বাভাস অনুযায়ী ডব্লিউএফপি হয়তো লক্ষ্যকৃত অর্থের অর্ধেকের কাছাকাছি পাবে।
ডব্লিউএফপির সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর অধীনে বিদেশি সহায়তা কমিয়ে দিয়েছেন। অন্যান্য বড় দাতা, বিশেষ করে কিছু ইউরোপীয় অনেক দেশও তাদের মানবিক বাজেট কমিয়েছে।
ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, সংঘাত, চরম আবহাওয়া এবং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ২০১৯ সালের তুলনায় তীব্র ক্ষুধার মুখোমুখি মানুষের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে ৩১ কোটি ৮০ লাখে পৌঁছেছে।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এ বছর গাজা ও সুদানের কিছু অংশে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছে। ডব্লিউএফপির নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি ম্যাককেইন এটিকে ‘একবিংশ শতাব্দীতে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ক্ষুধা আরও দৃঢ় হয়ে উঠছে। আমরা জানি যে প্রাথমিক, কার্যকর সমাধান জীবন বাঁচাতে পারে, তবে আমাদের আরও সহায়তার তীব্র প্রয়োজন।
একই সময়ে সহায়তা কর্মীদের ওপর হামলা বেড়েছে, যা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি ক্রমবর্ধমান অবহেলা প্রকাশ করছে।
ডব্লিউএফপির গত মাসে বলেছে, তারা ২০২৫ সালের জন্য বার্ষিক ৪০ শতাংশ তহবিল পাবে বলে আশা করছে। যার ফলে বাজেটের প্রাক্কলিত পরিমাণ ৬.৪ বিলিয়ন ডলার হবে। যা ২০২৪ সালের ১০ বিলিয়ন ডলার থেকে কম।
এক্ষেত্রে সরকার এবং দাতাদের ক্ষুধা নিবারণের জন্য প্রমাণিত সমাধানগুলিতে বিনিয়োগ করার এবং শূন্য ক্ষুধা লক্ষ্যের কাছাকাছি যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএফপির।






