অনলাইন ডেস্ক : পেরুর সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেতসি চাভেসের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন দেশটির একটি আদালত। তার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের অভ্যুত্থানচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়, পেরুর সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারক শুক্রবার বেতসি চাভেসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন এবং তাকে পাঁচ মাসের জন্য প্রাক-আটকে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বিচার শুরুর অপেক্ষায় থাকা চাভেস লিমায় মেক্সিকোর দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চাভেজ ছিলেন পদচ্যুত ও কারাবন্দী সাবেক প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাস্তিয়োর সরকারের স্বল্পমেয়াদি প্রধানমন্ত্রী। ২০২২ সালের শেষ দিকে কংগ্রেস ভেঙে দেওয়ার কাস্তিয়োর ব্যর্থ প্রচেষ্টায় ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে।

প্রসিকিউটররা তার বিরুদ্ধে ২৫ বছরের কারাদণ্ড চেয়ে মামলা করেছে, যদিও চাভেজ দাবি করেছেন, কাস্তিয়োর পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানতেন না।

১৮ নভেম্বর বিচারক হুয়ান কার্লোস চেকলি গ্রেপ্তারি নির্দেশ জারি করেন, যা শুক্রবার প্রকাশিত হয়। আদেশটি জাতীয় পুলিশ ও ইন্টারপোলকেও পাঠানো হয়েছে—রয়টার্সের দেখা আদালতের নথিতে এমনটাই উল্লেখ আছে।

চাভেজকে এই মাসের শুরুতে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয় মেক্সিকো। এর জেরে মেক্সিকোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে পেরু। তবে চাভেজকে নিরাপদে বের হওয়ার পথ (সেফ কন্ডাক্ট) দেওয়া হবে কি না—এ বিষয়ে আমেরিকান স্টেটস অর্গানাইজেশনের সঙ্গে আলোচনা করবে বলে জানিয়েছে পেরুর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এদিকে বিদ্রোহের অভিযোগে বিচারাধীন ও প্রাক-আটকে থাকা কাস্তিয়ো শুক্রবারের শুনানিতে চাভেজকে সমর্থন করেন এবং নিজের বিরুদ্ধেও অভিযোগ অস্বীকার করেন।

তিনি বলেন, “আমি এখানে খালাস চাইতে আসিনি, দয়া বা সহানুভূতি চাইতে আসিনি। আমি এখানে ন্যায়বিচার দাবি করতে এসেছি।”

মার্চে শুরু হওয়া মামলাটি এখন শেষ পর্যায়ে। সাবেক আইনপ্রণেতা চাভেজকে ২০২৩ সালের জুনে কারাগারে নেওয়া হয়েছিল। পরে গত সেপ্টেম্বর তাকে জামিনে মুক্ত করে বিচার চলতে থাকে।

সূত্র: রয়টার্স