অনলাইন ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রই ইউরোপের সবচেয়ে বড় মিত্র বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কাজা কালাস। তার মতে, নতুন মার্কিন নিরাপত্তা কৌশলে ইউরোপ নিয়ে তীব্র সমালোচনা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রই এখনও ইউরোপের সবচেয়ে বড় মিত্র। দোহা ফোরামে তিনি বলেন, মতপার্থক্য থাকলেও নীতি ও স্বার্থের জায়গায় দুই পক্ষের ঐক্য অটুট রয়েছে। আর তাই ইউরোপীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করা নতুন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও তিনি বিষয়টি খাটো করে দেখার আহ্বান জানান।

সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড বলছে, কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত বার্ষিক দোহা ফোরামে শনিবার এসব কথা বলেন কাজা কালাস। তিনি বলেন, ‘সমালোচনা অবশ্যই আছে, কিছু সমালোচনা সত্যিও বটে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনও আমাদের সবচেয়ে বড় মিত্র। সব বিষয়ে আমাদের মত মেলে না, কিন্তু বড় সত্যটা একই— আমরাই সবচেয়ে বড় মিত্র এবং আমাদের একসঙ্গে থাকা উচিত।’

এর আগে শুক্রবার প্রকাশিত নতুন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে ইউরোপকে বিধিবহুল, আত্মবিশ্বাসহীন এবং অভিবাসনের কারণে ‘সভ্যতার বিস্মৃতি’র ঝুঁকিতে থাকা অঞ্চল হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। মূলত নথিটিতে ট্রাম্প প্রশাসনের সেই অবস্থানই তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্রের উদারতার সুযোগ নেওয়ার অভিযোগ করা হয়। আর এটি পূর্ববর্তী মার্কিন নীতির তুলনায় বড় ধরনের পরিবর্তন।

কালাস বলেন, ‘ইউরোপ নিজেদের ক্ষমতা দীর্ঘদিন ধরে খাটো করে দেখেছে। রাশিয়ার ব্যাপারেও আমাদের আরও আত্মবিশ্বাসী হওয়া উচিত।’

এদিকে ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে পরপর তৃতীয় দিনের মতো বৈঠকে বসছেন। রাশিয়ার সঙ্গে সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের অবসান নিয়ে এ আলোচনা চলছে।

ওয়াশিংটনের প্রস্তাব অনুযায়ী, যুদ্ধের অবসানের জন্য ইউক্রেনকে সেই ভূখণ্ডও ছেড়ে দিতে হবে যা রাশিয়া যুদ্ধ করে এখনও দখল করতে পারেনি। আর এর বিনিময়ে ইউক্রেনকে দেয়া হবে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা। তবে তা ন্যাটোতে দেশটির যোগদানের ব্যাপারে কিয়েভের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

কালাস দোহা ফোরামে বলেন, ‘ইউক্রেনের ওপর চাপ তৈরি করলে বা সীমাবদ্ধতা আরোপ করলে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি পাওয়া যাবে না। আগ্রাসনকে পুরস্কৃত করা হলে তা আবার ঘটবেই— শুধু ইউক্রেন বা গাজায় নয়, বিশ্বের যেকোনও স্থানে।’