অনলাইন ডেস্ক : শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সঙ্কটে নাকাল জনজীবন। জ্বালানি তেল, শিশু খাদ্য থেকে শুরু করে সবকিছু দাম আকাশচুম্বি। কাগজের অভাবে ‍স্কুলগুলো পরীক্ষা নিতে পারছে না, জীবন রক্ষাকারী ওষুধের অভাবে বন্ধ অনেক জরুরি অস্ত্রোপচার। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কায় বেশকিছুদিন ধরেই এই অবস্থা বিরাজ করছে।

এই অবস্থায় দেশটির অর্থমন্ত্রী আলি সাবরি জানিয়েছেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে আর্থিক সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে শ্রীলঙ্কার ৩০০ কোটি ডলার সহায়তা প্রয়োজন। এই অর্থ দিয়ে জ্বালানি ও ওষুধসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহের গতি স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে।

আলি সাবরি বলেন, এটি একটি কঠিন কাজ। চলতি মাসেই আন্তর্জাতিক আর্থিক তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
দেশটির সরকার এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, বিশ্ব ব্যাংক এবং চীন, যুক্তরাষ্ট্র, বিট্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন অংশীদার দেশগুলোর কাছেও সহায়তা চাইবে বলে জানানো হয়েছে।

শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে। দেশটিতে মার্চে খাবারের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ। প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছেই। পর্যটনখাতের ওপর নির্ভরশীল দেশটিতে জীবনযাত্রার ব্যয় অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে।

ভারত, চীন ও বাংলাদেশ থেকে ঋণ নিয়েছে নগদ অর্থ সংকটে জর্জরিত শ্রীলঙ্কা। এছাড়া ২০২১ সালের জুনে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে ১০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে।

এদিকে, অর্থনৈতিক সঙ্কট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সরকারকে তাগাদা দিয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রধান বিরোধী দল এসজেবি। আর দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে সরকারকে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি করার হুমকি দিয়েছে দলটি।

সূত্র: রয়টার্স।