অনলাইন ডেস্ক : ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ছয় মাসে তৃতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে অংশ নিতে। যদিও ইরানবিরোধী অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সমন্বয় নজিরবিহীন ছিল, তবে গাজা নিয়ে দুই নেতার অবস্থান স্পষ্টভাবে ভিন্ন।

ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র একযোগে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কয়েক বছর পিছিয়ে গেছে। নেতানিয়াহু আশা করছেন, এই কূটনৈতিক সাফল্যকে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত করা যাবে।

তবে গাজা ইস্যুতে ট্রাম্প চান যুদ্ধবিরতি ও বন্দিমুক্তির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা। কিন্তু নেতানিয়াহু বারবার বলছেন- ‘হামাস থাকবে না, হামাস্তান থাকবে না।’ তিনি চান পুরোপুরি সামরিক বিজয়। এই কঠোর অবস্থান ট্রাম্পের বৃহত্তর কূটনৈতিক লক্ষ্য- সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিককরণে- বাধা হতে পারে।

অতীতে নেতানিয়াহু হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের মুখোমুখি হয়ে বিব্রত হয়েছেন (এপ্রিল সফরে)। এবারও ট্রাম্পের কাছ থেকে অপ্রত্যাশিত চাপ আসতে পারে- যেমন যুদ্ধ থামাতে বলা বা বন্দিমুক্তির বিনিময়ে ছাড় দিতে বলা। নেতানিয়াহু যদি প্রকাশ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিমত করেন, তাহলে তার জোটে ডানপন্থিদের বিদ্রোহ দেখা দিতে পারে।

নেতানিয়াহু হয়তো নতুন করে বেনি গান্টজকে জোটে নিতে চাইছেন বা ঝটিকা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তার সরকার এখনও গাজায় জোরপূর্বক ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণ কায়েমে আগ্রহী, যা ট্রাম্পের কৌশলের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।

যদি নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প ইরানের ওপর সামরিক সাফল্যকে কূটনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে তা মধ্যপ্রাচ্যে একটি নতুন শৃঙ্খলার সূচনা হতে পারে। তবে গাজা নিয়ে জটিল মতপার্থক্য এই সম্ভাবনাকে গুরুতরভাবে জটিল করে তুলছে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, নেতানিয়াহু কি ট্রাম্পের শর্তে গাজা যুদ্ধ থামাতে রাজি হবেন, নাকি নিজের জোট ও জনপ্রিয়তা রক্ষা করতেই প্রতিরোধ চালিয়ে যাবেন?

সূত্র: দ্য টাইমস অব ইসরায়েল