ইস্ট ইয়র্ক এলাকার ভাড়াটিয়ারা তাদের ভাড়াকৃত বাড়ী-ঘর থেকে বহিষ্কারের হুমকির মুখে টেনান্ট ইউনিয়ন গ্রুপ গত শুক্রবার ২৮শে জুলাই রাস্তায় নেমেছিলো। তাদের এই অবস্থান এর ফলে ভিক্টোরিয়া পার্ক ও ড্যানফোর্থ এর মোড়ে যান-বাহন চলাচল বন্ধ ছিল বেশ কয়েক ঘন্টা! এই গ্রূপের দাবী খুবই সাধারণ : এই মহামারী চলাকালীন সময় বন্ধ করে দেয়া হোক এলটিবি এবং বন্ধ হোক ভাড়াটিয়া উচ্ছেদ।
এই মাসে ইস্ট ইয়র্ক এলাকার ৫০+ অভিবাসী ও কর্মজীবি পরিবার/গৃহস্থালী তাদের বাসস্থান হারানোর হুমকির মুখোমুখী। ৫০+ ভাড়াটিয়া কোভিড এর সময়ে কিস্তিতে ভাড়া শোধের আলোচনায় বার বার ব্যর্থ হয় এবং পরে কর্পোরেট ল্যান্ডর্ডস এলটিবির মাধ্যমে তাদের বাসস্থান থেকে বহিস্কার হবার উপক্রম হয়েছেন।
আমাদের আন্দোলন ইন্ডিভিজুয়াল ল্যান্ডলর্ড অভিমুখে নয়, যারা মাত্র ৫% সর্বমোট ল্যান্ডলর্ডদের মধ্যে। কর্পোরেট ল্যান্ডলর্ডস যারা প্রচুর মুনাফা পকেটে তোলে। তারা একটি সহজ ও যৌক্তিক কিস্তি পরিকল্পনা দিতে পারে যাতে ক’রে যাদের দরকার তারা যেন কিস্তি সুযোগটা নিতে পারে। মহামারীর এই সময়ে এটাই মূল কথা যে, ল্যান্ডলর্ড যেন টেনেন্টদের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে একটা সন্তোষজনক অবস্থানে পৌঁছে। এলটিবি এন্টি-টেনেন্ট বিচারক, প্রক্তন পুলিশ, প্রপার্টি ম্যানেজারস, এমনকি একজন প্যারালিগাল ও কুখ্যাত কোহেন হাইলি দ্বারা আচ্ছন্ন হ’য়ে আছে এই শহরের বৃহত্তম ল্যান্ডলর্ড।
টেনেন্ট ইউনিয়নের সমন্বিত আন্দোলন রাজপথেই চলতে থাকবে যতক্ষণ না এলটিবি বন্ধ না হচ্ছে। আর যতক্ষণ না ল্যান্ডলর্ড মাথায় প্যান্ডামিকের বোঝা থাকা অবস্থায় জোর-জবরদস্তি করছে ভাড়া দেবার জন্য।