অনলাইন ডেস্ক : এপ্রিলের মতো গত মে মাসেও কানাডার অর্থনীতিতে মন্দা ভাব অব্যাহত ছিল। এর ফলে টানা ২ মাস দেশটির অর্থনীতি মন্দার মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত হলো। মহামারি শুরুর আগে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কানাডার অর্তনৈতিক সূচক যে অবস্থানে ছিল এখন পর্যন্ত আর সেই অবস্থানে পৌছা সম্ভব হয়নি। ২০২০ সালের মার্চ থেকে করোনা ভাইরাসের বিস্তার শুরু হলে দেশের অর্থনীতিতে স্থবিরতা নেমে আসে। বেশির ভাগ শিল্প কারখানা বন্ধ রাখা হয়। স্ট্যাটিসটিকস কানাডার হিসাব অনুযায়ী গত মে মাসে দেশের মোট দেশজ উত্পাদন (জিডিপি) কমেছে ০.৩%। আগের মাসেও জিডিপি কমেছিল ০.৪%। ২০২০ সালের মার্চ ও এপ্রিলের পর এবারই প্রথম পরপর ২ মাস জিডিপি হ্রাস পেল।
গত শুক্রবার কানাডার পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় গৃহায়ন খাতে মে মাসে আয় কমেছে ০.৪%। আগের মাসে এই হ্রাসের হারছিল ০.৮%। তবে টিডি ব্যাংকের একজন অর্থনৈতিক বিশ্লেষক খানাবালা সিংগম বলেন, গৃহায়ন, কৃষি, তেল-গ্যাস ও পর্যটনসহ সব সেক্টরেই ধিরে ধিরে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে। ফলে এই মন্দাভাব বেশি দিন স্থায়ী হবে না। আগামী ২/৩ মাসের মধ্যেই এটি কেটি যাবে। তিনি আরো বলেন, করোনা মহামারির জন্য বিভিন্ন প্রভিন্সে দীর্ঘদিন লকডাউন থাকায় অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে আমরা তারই ফল ভোগ করছি। তবে এখন লকডাউন তুলে দেয়া হয়েছে। সব কিছুই আবার প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসছে। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট অবশ্য নতুন করে শঙ্কা তৈরি করছে। তারপরও আমরা কানাডার অর্থনীতিকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। তবে সমালোচকেরা বলছেন, খুব শিগগিরই কানাডার অর্থনৈতিক মন্দাভাব কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। কেননা বিশ্বজুড়েই এখন চলছে মন্দা। এছাড়া করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট যেভাবে বিস্তার লাভ করছে তাতে কানাডায় যে কোন সময় দেখা দিতে পারে করোনার ৪র্থ ঢেউ। যদি তাই হয় তাহলে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের গতিও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে।