অনলাইন ডেস্ক : কানাডায় করোনা মহামরির দুই ডোজ টিকা গ্রহণ করা ছাড়া কেউ বিমানে ভ্রমণ করতে পারবে না। আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে এই নিয়ম চালুর ঘোষণা দিতে যাচ্ছে অটোয়া প্রশাসন। গত বুধবার এক সরকারি বার্তায় বলা হয়, ফুল ভ্যাকসিনেটেড না হলে ৩০ নভেম্বরের পর কাউকে কানাডার কোন বিমানবন্দরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। সরকার ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সবার জন্য ভ্যাকসিন পাসপোর্ট ও ভ্যাকসিন কার্ড নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে চলেছে। তাই সরকার অনুমোদিত টিকা গ্রহণ না করলে কেউ আকাশ পথে ভ্রমণ করতে পারবেন না।

প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো গত গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক টিকা গ্রহণের নির্দেশ এবং দেশে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ছিলেন। তখন অনেকেই এর বিরোধিতা করে বলেছিলেন, ‘টিকা দেয়া যেমন সরকারের দ্বায়িত্ব, তেমনি নেয়া বা না নেয়ার বিষয়টি আমার অধিকার’। এ ধরনের প্রচারণার ফলে কানাডায় এখনো শতভাগ টিকা নিশ্চিত করা যায়নি।

সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে যে করোনা সংক্রমণ রোধে টিকার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু নানা কুসংস্কার ও অপপ্রচারের ফলে অনেকে বিশেষ করে আদিবাসীরা টিকা নিতে আগ্রহী হচ্ছে না।

ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টের এক ই-মেইল বার্তায় বলা হয়েছে, ৩০ অক্টোবরের পর থেকে বিমানে অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলের জন্যও টিকা গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হবে। এছাড়া ৩০ নভেম্বরের পর দেশী-বিদেশী কোনো যাত্রীই টিকা ছাড়া বিমানে ভ্রমণ করতে পারবেন না। সংস্থার মুখপাত্র সারা জনস্টন বলেন, দেশের বাইরে থেকে কানাডায় প্রবেশে কোয়ারেন্টিনসহ বিভিন্ন নিয়ম থাকলেও কানাডা থেকে বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে তেমন কোন নিয়ম ছিল না। এখন টিকা ছাড়া বিমানে ভ্রমণ নিষিদ্ধের নিয়ম চালু হলে অনেকেই টিকা নিতে উৎসাহিত হবে।

তবে সরকারের এই ঘোষণায় বিপাকে পড়তে পারেন কানাডায় অধ্যায়নরত বিদেশী ছাত্র ও কর্মরত শ্রমিকেরা। তাদের অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও টিকা না নেওয়ার কারণে দেশে ফিরতে না পেরে তারা আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন। সূত্র : রেডিও কানাডা