অনলাইন ডেস্ক : অর্ধেকেরও বেশি কানাডিয়ান বলেছে যে, তারা বর্তমান জীবনযাত্রার ব্যয়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হিমশিম খাচ্ছেন। গত ২২ আগস্ট অ্যাঙ্গাস রিড ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটি ২ হাজার ২৮৯ জন প্রাপ্তবয়স্ক কানাডিয়ানের উপর জরিপ করেছে যারা অ্যাঙ্গাস রিড ফোরামের সদস্য। জরিপে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে ৫৬ ভাগই উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং সুদের হারের কারণে তাদের খরচের মাত্রাকে কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে।

৮০ ভাগ বলেছেন যে, তারা গত কয়েক মাসে বেশ কিছু ধরনের খরচ কমিয়েছেন এবং ৫৭ ভাগ বলেছেন, তারা বিবেচনামূলক খরচ কমিয়েছেন। তিন-চতুর্থাংশ কানাডিয়ান বলেছেন যে, তারা অর্থ নিয়ে চাপে রয়েছেন। জুলাইয়ের মূল্যস্ফীতি জুনে ৩৯ বছরের সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৭ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে। যা গত এক বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার কমে আসাকেই নির্দেশ করে। তারপরও গত বছরের থেকে খাদ্যের দাম চলতি বছরে ১০ শতাংশ বেড়েছে।

এই সমীক্ষায় একটি বিষয় ফুটে উঠেছে আর তা হল, মুদি দোকানগুলো দাম বাড়াতে এবং তাদের মুনাফা বাড়ানোর জন্য উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির সুবিধাকে ব্যবহার করছে। এবং এ বিষয়টিতে কানাডিয়ানরা একমত হবেন। কানাডিয়ানদের ৭৮ শতাংশ বিশ্বাস করে যে এমনটি ঘটছে। যদিও এম্পায়ার ও লোব্লাসের মতো বড় মুদির চেইনশপগুলো বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

৪০ ভাগ কানাডিয়ান বলেছেন, তারা বড় খরচের বিষয়টি আপাতত স্থগিত রেখেছেন এবং জ্বালানি খরচ কমাতে কম ড্রাইভিং করছেন। এ বছর ৩২ ভাগ কানাডিয়ান ভ্রমন পরিকল্পনা বাতিল বা কাটছাঁট করেছেন। এমনকি, এক চতুর্থাংশের বেশি তাদের বাজেটে সামঞ্জস্য আনতে দাতব্য সংস্থার জন্য নির্ধারিত অনুদান কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উনিশ শতাংশ বলেছেন, তারা তাদের কর-মুক্ত সঞ্চয় অ্যাকাউন্ট এবং অবসরকালীন সঞ্চয়ে অর্থ জমা করা মুলতবি রেখেছেন।

উল্লেখ্য, অ্যাঙ্গাস রিড ইনস্টিটিউট অনলাইনে তার এ সমীক্ষা পরিচালনা করেছে। সূত্র : সিবিসি