অনলাইন ডেস্ক : নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর অনেক মতবিরোধ থাকলেও তিনি নিউইয়র্কবাসীর জন্য উপকারী যে কোনো এজেন্ডা নিয়ে তাঁর সঙ্গে কাজ করবেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা রয়েছে। ৪ নভেম্বর নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে জয়ের পর ট্রাম্পের সঙ্গে এটা তাঁর প্রথম বৈঠক।

নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প-মামদানি নানা বচসায় জড়িয়ে জড়ান। এ সময় নিউইয়র্কের জন্য ফেডারেল তহবিল বন্ধের হুমকিও দেন ট্রাম্প। মামদানি বেশ কিছু রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ফেডারেল তহবিলের সহযোগিতা ছাড়া এসব প্রতিশ্রুতি পূরণ কোনোভাবে সম্ভব নয়।

মামদানি সাংবাদিকদের জানান, প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর অনেক বিষয়ে মতবিরোধ আছে। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেন, তাদের দুজনকে এসব বিষয়ে নির্মোহ থাকা উচিত এবং আলোচনায় বসে এমন সব উপায় বের করা উচিত, যা আমাদের শহরকে প্রত্যেক নিউইয়র্কবাসীর জন্য সাশ্রয়ী করে তুলতে পারে।

শুক্রবার এনআরপি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, মামদানি নিউইয়র্কের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় কমানোর ওপর জোর দিচ্ছেন। এ কারণে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব বিষয় তুলতে পারেন।
মামদানি বলেন, ‘এ বৈঠক আয়োজনের জন্য আমার দল (ডেমোক্রেটিক পার্টি) হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কারণ, আমি এ শহরকে যারা বাড়ি বলে ডাকে, তাদের জীবনকে আরও সাশ্রয়ী করে তুলতে যে কারও সঙ্গে কাজ করব।’

গত জুনে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে মামদানির জয়ের পর থেকে ট্রাম্প তীব্র বিরোধিতায় নামেন। তিনি বলেন, শহরে আইসিই (অভিবাসনবিরোধী) কার্যক্রম ব্যাহত করলে মামদানিকে গ্রেপ্তার করা হবে; নভেম্বরে জয়ী হলে শহরের ফেডারেল তহবিল বন্ধ করে দেওয়ার হুমকিও দেন।

মামদানির প্রাথমিক জয়ের পরপরই গত গ্রীষ্মে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেখুন, এ দেশে আমাদের কোনো কমিউনিস্টের প্রয়োজন নেই। কিন্তু যদি আমাদের একজন থাকে, তাহলে আমি জাতির পক্ষ থেকে তাঁর ওপর খুব সাবধানে নজর রাখব।’

নির্বাচনের রাতে বিজয় ভাষণে ট্রাম্পকে সরাসরি জবাব দেন মামদানি। তিনি বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প, যেহেতু আমি জানি আপনি দেখছেন, তাই আপনার জন্য আমার চারটি শব্দ– ভলিউমটা একটু বাড়িয়ে নিন।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের কারও কাছে পৌঁছাতে হলে, আপনাকে আমাদের সবার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।’