অনলাইন ডেস্ক : কানাডায় গত ৬ বছর ধরে ক্ষমতাসীন লিবারেল সরকার দেশের পরিবেশ রক্ষায় বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেয়া ছাড়া কার্যকর কোন কিছুই করেনি বলে বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন লিবারেল পার্টির নেতা জাস্টিন ট্রুডো। গত শনিবার অন্টারিওর রাজধানী টরন্টোর পার্শ্ববর্তী মিসিসাওগা উপশহরে এক প্রচারাভিযানে তিনি বলেন, একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ করা, দূষণ প্রতিরোধে অর্থ বরাদ্দ করা এবং জলাশয় রক্ষায় কঠোর আইন প্রণয়ন করা এগুলো কি পনিবেশ রক্ষায় ‘কিছুই নয়’।
তিনি বলেন, বিরোধী নিউ ডেমোক্রেট ও গ্রীন পার্টি তাদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কপট অভিযোগ করে যাচ্ছে। তারা আসন্ন নির্বাচনে ভোটারদের বিভ্রান্ত করার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে এসব বানোয়াট অভিযোগ প্রচার করে বেড়াচ্ছে। তারা বলছে আমরা লিবারেলরা নাকি পরিবেশ রক্ষায় কিছুই করিনি। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, প্রকৃতপক্ষে এনডিপি ও গ্রিণ পার্টির পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সত্যিকারের কোন পরিকল্পনা নেই। নির্বাচনে তারা এই ইস্যুতে জনগণের সামনে যেতে পারছে না বলে আমাদের বিরুদ্ধে মনগড়া অভিযোগ আনছে।
ট্রুডো বলেন, পরিবেশ রক্ষায় তার সরকার বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এবার নির্বাচিত হলে তারা ২০৫০ সাল নাগাদ কার্বণ নিঃসরণ শুন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করবে। ২০৩৫ সাল নাগাদ কানাডায় মোট গাড়ির শতভাগই কার্বণ নিঃসরণমুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে।
তবে বিরোধী দলগুলো লিবারেলদের এসব প্রতিশ্রুতিকে ফাঁকা বুলি বলে আখ্যায়িত করে বলেছে, কাজ না করে বিশাল আকারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কোন লাভ নেই। সরকার যদি পরিবেশ রক্ষায় সত্যিকার অর্থেই কিছু করত তাহলে জি-৭ দেশগুলোর মধ্যে গ্রিণহাউজ গ্যাস নিঃসরণে কানাডার অবস্থান শীর্ষে থাকত না।
প্রসঙ্গত, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর কানাডায় ৪৪ তম জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালে। কিন্তু বর্তমানে ক্ষমতাসীন সংখ্যালঘু লিবারেল সরকার সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। তাই তারা আগাম নির্বাচন দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের নির্বাচনে পরিবেশ তথা জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দেখা দিতে পারে। সূত্র : দ্য ন্যাশনাল পোস্ট