গত ১০ ডিসেম্বর শনিবার, ১৫১০ ‘ধর্মাশ্রমে’ বাংলাদেশ রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সংস্থা এক সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন সংগীত সন্ধ্যার আয়োজন করেছিল। ডিসেম্বর বিজয়ের মাস, আর বিজয় দিবসের ক’দিন পরেই শান্তির মহান দূত জীশুর বিশ্বব্যাপী জন্মোৎসব, তাই পুরো অনুষ্ঠানের আমেজ ছিল উৎসবের আর মানানসই ‘বিশ্বভরা প্রাণ’ শিরোনাম।

চিত্রা সরকারের স্বাগত বক্তব্যের পর বাংলাদেশ থেকে আগত দুই প্রখ্যাত গুনী শিল্পীকে সম্মাননা জানানো হয়। এঁরা হলেন গীটার বাদন, শিক্ষক, সংগঠক জনাব এনামুল কবীর এবং নৃত্যশিল্পী সুলতানা হায়দার। এরপর একটানা দুই ঘন্টা রবীন্দ্রনাথের গান, কবিতা আবৃত্তি ও রচনা পাঠ। সবকিছু ছিল এদিনের মেজাজের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। সমস্ত অনুষ্ঠান খুব সুন্দরভাবে সঞ্চালনা করেন রাশিদা মুনীর।

প্রথম দিকের গানগুলো সাজানো ছিল রবীন্দ্রনাথের পূজাপর্বের গান দিয়ে। গেয়েছেন, মন্জুর আহমেদ, ফারহানা শান্তা, শানআলম, মৈত্রেয় দেবী ও নবিউল হক বাবলু।

এরপর ছিল স্বদেশ পর্যায়ের গান এবং গেয়েছেন দিল আফরোজ রুমা, সুভাশ দাশ, জেনেট গোমেজ, পার্থ সারথি সিকদার, জিবিনা সঞ্চিতা হক, চিত্রা সরকার এবং কুমকুম বল।
মাঝে মাঝেই ছিল সমবেত কন্ঠে রবীন্দ্রনাথেরই জাগানীয়া গান। আরও ছিল রাশিদা মুনীরের লেখা পাঠ ও আবৃত্তি। রাশিদা মুনীর এবং আরিয়ান হক, দুজনেই অনবদ্য কবিতা আবৃত্তি করেছেন। বলতেই হয় সমস্ত অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা, গান ও কবিতা বাছাই ছিল যাতায়ত। সমবেত এবং একক সংগীত পরিবেশনাও হয়েছে খুবই মনোগ্রাহী।

অনেকদিন পর টরন্টোর সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল যেন নুতন এবং আরো পরিণত হয়ে প্রকাশিত হচ্ছে।