অনলাইন ডেস্ক : চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আল-জামিয়াতুল তাহলিমা দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার (যা হাটহাজারী মাদ্রাসা নামে পরিচিত) মহাপরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
তার ছেলে আনাস মাদানী ও অনুসারী আরেক শিক্ষক মাওলানা নূরুল ইসলামকেও ওই মাদ্রাসা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির (শূরা কমিটি) বৈঠকে শফীকে অব্যাহতি এবং তার ছেলেসহ অন্য দুই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয় ।
এরপর অসুস্থ আহমদ শফীকে মাদ্রাসা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রাম শহরের একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শূরা সদস্য মাওলানা নোমান ফয়জী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শূরার বৈঠকে মাওলানা নোমান ফয়জী, মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী, আল্লামা মহিবুল্লাহ বাবুনগরীসহ পাঁচজন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে আন্দোলন সমাপ্ত ঘোষণা করেছে। আহমদ শফী মহাপরিচালক পদে না থাকলেও তার জন্য মাদ্রাসায় সম্মানসূচক পরিচালক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। তিনি এ পদে থাকবেন বলে শূরা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অনেক দিন ধরেই হেফাজত আমির আহমদ শফী এবং মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীর অনুসারীদের মধ্যে বিরোধ চলছে। গত জুনে বাবুনগরীকে সরিয়ে মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক করা হয় শায়খুল হাদীস শেখ আহমদকে। তিনি ৯৫ বছর বয়সী আহমদ শফীর উত্তরসূরি হবেন বলে প্রচার রয়েছে। চলতি মাসে বাবুরগরীর অনুসারী তিন শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়। এর প্রতিবাদে বুধবার আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। আনাস মাদানীকে বরখাস্ত করা, বাবুনগরীর অনুসারীদের চাকরিতে পুনর্বহালসহ ছয় দাবিতে তাদের টানা দুদিনের আন্দোলনের পর হাটহাজারী মাদ্রাসা বন্ধ করার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তার আগে দাবির মুখে আনাস মাদানীকে শিক্ষা সচিব পদ থেকে সরান আহমদ শফী। তাতেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। কওমি ঘরনার শীর্ষ নেতা আহমদ শফীকেও মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে হচ্ছে।