অনলাইন ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে জনসাধারণকে ‘ঘরে থাকার’ নির্দেশ জারি করা হয়েছে। তারপরও জরুরি প্রয়োজনে মানুষ বাইরে বের হচ্ছে। এসব মানুষকে যখন তখন, যত্রতত্র থামিয়ে বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসাবাদে সম্মত নয় কানাডিয়ান পুলিশ।
কানাডার সবচেয়ে জনবহুল ওন্টারিও প্রদেশের ‘স্টে অ্যাট হোম’ জারি থাকলেও পুলিশ বিভিন্ন শহরে ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি বা জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া পথচারিদের কোনো ধরনের জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। একই অবস্থা দেখা গেছে দেশটির সবচেয়ে বড় শহর অটোয়াসহ হেমিলটন, উন্ডসোর ও অন্যান্য এলাকায়ও। পুলিশ প্রসাশনের এক টুইটার বার্তায় বলা হয়েছে, তাদেরকে ক্ষমতা দেয়া সত্তে¡ও তারা যে কোনো গাড়ি বা মানুষকে থামিয়ে বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে আগ্রহী নন। টরোন্টোর মেয়র জন টোরিও বিষয়টিকে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশের নিরাপত্তার জন্য এমনটাই করা উচিত।
প্রসঙ্গত, ওন্টারিওতে কানাডার মোট জনসংখ্যার ৩৮% লোকের বসবাস। গত শুক্রবার সেখানে রেকর্ড ৪,৮১২ জন নতুন করোনা (বাকি অংশ ৩৩-এর পাতায় ধ)
রোগি শনাক্ত হয়েছে। এরপর দিন শনিবার সেই সংখ্যা চিল ৪,৩৬২। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্খা করছেন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করলে এবং টিকাদান কর্মসূচীর আওতা না বাড়ালে আগামী জুন মাসে সেখানে প্রতিদিন সংক্রমণের হার ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে ওন্টারিওর প্রধানমন্ত্রি ‘স্টে অ্যাট হোম’ অর্ডার জারি করেন আদেশে নিয়ম ভঙ্গকারিদের জরিমানার কথা বলা হয়। বিরোধী লিবারেল পার্টি অবশ্য সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেছে, নিরপরাধ ওন্টারিওবাসির উপর সরকার ‘সামরিক আইন জারি করেছে। তবে সমালোচনা সত্তে¡ও ফোর্ড প্রশাসন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রেস্টুরেন্ট, শপিংমলসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া প্রতিবেশি রাজ্যগুলোর সাথে সীমান্তও সিল করে দেয়া হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স